প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:০২
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শিশুদের বিকশিত হতে আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে আজকের শিশু আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, শিশুদের হাতে বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া হচ্ছে, সুন্দর ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতে ডিজিটাল ল্যাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবই করা হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে শিশুদের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুদের সঠিক পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রয়োজন মতো ও যোগ্য শিক্ষকের দরকার সবার আগে। কিন্তু এটি আমাদের পর্যাপ্ত ছিল না। অনেক শিক্ষক ছিলেন, যারা মাসে ৫০০ টাকা বেতন পেতেন, মানবেতর জীবনযাপন করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বে এসে সাড়ে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গা তৈরি করেছেন।
শেখ হাসিনা মনে করেন, জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠ জায়গা স্কুল। তিনি সে চিন্তা থেকে শিক্ষাঙ্গনকে জ্ঞানার্জনের শ্রেষ্ঠ জায়গাতে পরিণত করতে কাজ করছেন। যেখান থেকে শিশুরা বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, আগামী দিনের যোগ্য মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখবে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারবে। বর্তমান সরকারে আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি বলে উল্লেখ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষা শিশুর অধিকার। আমরা শিশুদের সেই অধিকারের জায়গা তৈরি করছি। রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মাধ্যমে নিজেদের কথা বলবে, নিজেদের অধিকারের কথা বলবে।
‘মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন। । মানুষ হতে হবে, মানুষ যখন। ’বঙ্গবন্ধুর এ উচ্চারণকে শিশুদের মানুষ হওয়ার মন্ত্র নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। আর এ জন্য আজকের শিশুদের যোগ্যভাবে গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা যেমন অনেক প্রতিবন্ধবন্ধকতা পেরিয়ে দেশের মানুষের মাথা উঁচু করে করেছেন, দেশকে সম্মানিত করেছেন। দেশের টাকায় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। শত বাধা পেরিয়ে লক্ষে এগিয়ে যেতে শিশুদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে, এগিয়ে যাওয়ার সাহস অর্জন করতে হবে। তাহলেই জীবনে সে সফল হবে, সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করবে, মেধার স্বাক্ষর রাখবে, মা- বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস সারাফাত সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কেএম শহিদ উল্যা, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, তরফদার মো. রুহুল আমিন ও সংগঠনের সাংগঠনিক সচিব ফরিদউদ্দিন আহম্মদ রতন।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে রাজধানীর কদমতলীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের শিশুনেতাদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী ও দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ওসমানী মিলনায়তনে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে উঠে। আলোচনা সভার বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান মুখর করে রাখে।
মন্তব্য করুন: