প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:০৪
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সহিদুজ্জামান রাছেল এর পূর্ব কমিটি আবারো পুনঃর্বহাল করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
সম্প্রতি জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কেএম আযম খসরু গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদনকৃত জাতীয় শ্রমিক লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হিসেবে মোঃ মজিবর রহমান এবং সদস্য সচিব হিসেবে পরিবহন শ্রমিক নেতা মোঃ আমিনুর রহমান বাচ্চু কে মনোনীত করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেন।
কুড়িগ্রাম জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করে আহবায়ক কমিটি দেয়ায় স্থানীয় ভাবে শ্রমিক লীগের বিভিন্ন স্থরে ক্ষোভ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়। গত ২ অক্টোবর ২০২২ জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু এর যৌথ ভাবে স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় সার্কুলার মোতাবেক জাতীয় শ্রমিক লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সম্মেলন চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।
উক্ত বিষয়ে নিজ স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু কোন প্রকার পদক্ষেপ না করে এবং কেন্দ্রের সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা না করে ব্যক্তি স্বার্থে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে কৌশলে সংগঠনের মধ্যে বিভাজন-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত সর্ববিষয়ে সংগঠনকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কুড়িগ্রাম জেলা শ্রমিক লীগের কমিটির চলমান থাকা সত্বেও কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা প্রদর্শন করে একক স্বাক্ষরে অবান্তর একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি প্রদান করেছেন বলে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান লিখিত ভাবে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছেন।
সেই সাথে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান তার একক স্বাক্ষরে জাতীয় শ্রমিক লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত একক স্বাক্ষরিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিল করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে চলমান বৈধ পুর্ণাঙ্গ কমিটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জেলার কাউন্সিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় শ্রমিক লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান জানায়, কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা ছাড়াই একটি আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়েছিল। যা কেন্দ্রীয় সভাপতির স্বাক্ষরে বাতিল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: