প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির পর আবার তীব্র গরম। মঙ্গলবার(১০ অক্টোবর) রাজধানীর আকাশ মেঘলা, তবে বৃষ্টি নেই। নগরীর সড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক ভিড়।
এই শহরে বায়ুদূষণ কমে বৃষ্টি হলে। সেই বৃষ্টির দেখা নেই। কিন্তু দূষণের উৎস যেমন গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া—সবই আছে। তাই দূষণও ব্যাপক। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান প্রথম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৭০।
বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, স্কোর ১৬৩। আর তৃতীয় স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ, স্কোর ১৬১।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারে দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১৮ গুণ বেশি।
আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন।
স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে, তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে, তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।
৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
ঢাকায় গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মন্তব্য করুন: