প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪৯
ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার চিলমারী নৌ বন্দরে ফেরি চালু হলেও একমাস না যেতেই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছে। কুড়িগ্রামের সাথে সারাদেশে নৌ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং চিলমারী নৌ বন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরেয়ে আনতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু ও বন্দরের উন্নয়নের কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে মাত্র ২৫দিনের মাথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে চিলমারী-রৌমারী নৌ পথে ফেরি দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় অধর্শতাধিক পণ্যবাহি পরিবহন ভােগান্তিতে পড়েছে শ্রমিক ও চালকেরা।
রৌমারী ঘাট থাকা পল্টুনের র্যামের নিচে মাটি ভেঙে যাওয়ায় সাময়িকভাব ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবী।
জানা গেছে,চিলমারী-রৌমারী ঘাট দিয়ে নিয়মিত কুঞ্জলতা এবং বেগম সুফিয়া কামাল নামে দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন এবং যাত্রী পারাপার করছে। শনিবার বিকেলে চিলমারী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল রৌমারী ঘাটে পৌঁছানার পর ফেরি থেকে দুটি পণ্যবাহী ট্রাক নামতে পারলেও পল্টুনের র্যামের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বাকি পরিবহনগুলি নামতে পারেনি। ফল শনিবার বিকেল থেকে ওই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এত চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহনর শ্রমিক-চালকরা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা ঘাট এলাকায় গিয়ে ৪০টি পণ্যবাহী পরিবহনকে সারি বন্ধ হয় দাঁড়িয় থাকতে দেখা যায়।
ভূরুঙ্গামারী সােনাহাট স্থল বন্দর থেকে পাথর নিয়ে আসা চালক জাহিদ হাসান এবং লালমনিরহাট জেলা থেকে আসা মমিনুল ইসলামসহ অনেকে জানান,এর আগে এসেছিলাম তখনও দুভাের্গে পড়েছিলাম। আজও দুভাের্গে পড়তে হলো। এরকম হলে পরবর্তীত আর আমরা এ পথ আসবাে না। এই পথে পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছিল। দিন দিন এই গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কিছু অবহেলার কারণে আজকে এই দুর্ভোগের স্বীকার হতে হলো।
বিআইডব্লিউটিসি ম্যানজার বাণিজ্য প্রফুল্ল চহান বলেন, রৌমারী ঘাটের মাটি ভেঙে যাওয়ায় আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট মেরামতের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান,রৌমারী ঘাটে পল্টুনের র্যামের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাটে মাটি ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হলেই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন: