প্রকাশিত:
১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১২
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ সহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়। রোহিঙ্গাদের কোনো ভাবেই জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে না।
কারণ মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আফরিন আখতার।
আফরিন আখতার বলেন, ওখানে এখনো সামরিক দাঙ্গা চলছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে দিচ্ছে না। সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই আমি মনে করি না রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময় এসেছে।
তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান চায়। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান এবং স্বল্প মেয়াদে মানবিক সহায়তা দিয়ে জন্য কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। রোহিঙ্গা সংকটে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ২২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বলে জানান আফরিন।
মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে আফরিন আখতার বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটি দেশের জন্যই অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
মার্কিন উপ সহকারী মন্ত্রী দুপুরে ১১ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এছাড়া বিকেলে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মন্তব্য করুন: