প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৩
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গুলশানে নতুন ঠিকানায় এডওয়ার্ড এম কেনেডি ইএমকে সেন্টার উদ্বোধন করেছেন। এ সেন্টারের লক্ষ্য জ্ঞান বিনিময়, দু'দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করা।
এটি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ প্রচেষ্টা।
রোববার ( ২২ অক্টোবর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর শার্লিনা হুসাইন-মর্গান বলেন, বাংলাদেশি যে তরুণরা এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন, এটি আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনাদের আগে যারা এখানে এসেছিল, তাদের মতো করে শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার, যুক্ত হওয়ার এবং সংযোগ করার।
এর আগে দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সিলর স্টিভেন ইবেলি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ইএমকে সেন্টার বাংলাদেশি তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পৃক্ততার কেন্দ্র। এটি বই, ডিজিটাল উপকরণ, আধুনিক মাল্টিমিডিয়া এবং অনলাইন তথ্যসহ সমৃদ্ধ এক ভাণ্ডার। ইএমকে সেন্টারে রয়েছে এআর / ভিআর প্রযুক্তিসহ একটি আধুনিক রেকর্ডিং স্টুডিও এবং ঢাকার বৃহত্তম থ্রি ডি প্রিন্টারগুলোর মধ্যে একটি। আছে উদ্যমী শিল্পীদের তোলা ও আঁকা ছবি এবং শিল্প প্রদর্শনী। কেন্দ্রে শিক্ষার্থী, গবেষক, শিল্পী এবং উৎসাহীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করে তুলতে, আলোচনায় যুক্ত হতে, শিক্ষাগত এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে এমন প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করতে পারেন৷
ইএমকে সেন্টার এডুকেশনইউএসএ'র অ্যাডভাইজিং সেন্টার হিসেবেও কাজ করে। চারজন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভাইজার শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আবেদন করতে বিনামূল্যে বিভিন্ন পরিষেবায় অ্যাক্সেস প্রদান করবেন।
ইএমকে সেন্টার ইংরেজি ভাষাশিক্ষা, উদ্যোক্তা, স্টেম ( বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত), সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, এবং আমেরিকান সাহিত্য ও ইতিহাস ঘিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা এবং ইভেন্টের আয়োজন করে। এসব কার্যক্রম অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা, চিন্তাভাবনা এবং ধারণার বৈচিত্র্য বাড়াতে সহায়ক হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজ, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইএমকে সেন্টার আমেরিকান দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে অটুট সহযোগিতার প্রমাণ, প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক বার্তা প্রচারে এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যারা সমাজে অর্থবহ অবদান রাখতে চায়, একইসঙ্গে নিজেদের সমৃদ্ধ করে তুলতে চায়, তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হবে গুলশানে যাত্রা শুরু করা এ সেন্টার।
মন্তব্য করুন: