প্রকাশিত:
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২০
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন সকালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহন চলাচল করছে সীমিত আকারে। সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতো মহাসড়কে যানবাহনের ব্যস্ততা নেই।
স্বল্প দূরত্বে ইজিবাইক, মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য গাড়ি সংযোগ সড়কে চলছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক চলতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরে পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ড, কুতুবপুর স্ট্যান্ড, বন্দরখোলা ও সূর্যনগর স্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
এসব বাসস্ট্যান্ডে চার/পাঁচজন লোক আছে। কোনো কোনো স্ট্যান্ডে ঢাকাগামী কয়েকটি লোকাল পরিবহন এক থেকে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠাচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি কম থাকায় সড়ক রয়েছে তুলনামূলক ফাঁকা।
জানা গেছে, অবরোধ ঘিরে সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে না। ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের তেমন দেখা নেই। কিছুক্ষণ পর পর দুই/একটি পরিবহন ঢাকার দিকে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকাগামী বাসের একাধিক চালক জানান, পেটের দায়ে গাড়ি চালানোর জন্য তারা প্রস্তুত। ভোর থেকে কিছু গাড়ি চলাচল করলেও বেলা বাড়ার পরে যাত্রী খুবই কম রয়েছে। ভোরের দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী কয়েকটি পরিবহন ছেড়ে গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনও কমে যায়।
শাহিন আলম নামের এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন পাঁচ্চর এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ি খুবই কম চলছে। মাঝে মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন দুই/একটা যেতে দেখা যায়। ঢাকাগামী যাত্রীও খুব একটা নেই।
মাসুদ রানা নামে পরিবহনের এক লাইনম্যান বলেন, সকাল থেকে দোলা, এমাদ পরিবহনের গাড়ি খুলনা থেকে ঢাকা চলছে। মাদারীপুরে চন্দ্রা, সার্বিক পরিবহনের গাড়িও চলছে। তবে প্রতিদিনের তুলনায় গাড়িও কম যাত্রীও কম।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, অবরোধকে কেন্দ্র করে হাইওয়েতে বিশেষ টিমের টহল রয়েছে। যানবাহন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে। তবে দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেটকারের সংখ্যা কম। এছাড়া অন্যান্য পরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন: