প্রকাশিত:
২ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৮
বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে গত তিনদিন পল্লবী এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের কিছুই বলেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে পূরবীর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইপিলিয়ান, অ্যাপোলো নিটওয়্যার ও স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। তবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকদের সরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছোড়ে পুলিশ।
পুলিশ লাঠি ও জলকামান এনে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় প্রধান সড়ক ও অলিগলি থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক ও উৎসাহী জনতাকেও সরিয়ে দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ দেখে জয় বাংলা স্লোগান দিতেও দেখা গেছে তাদের। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা কালশী, মিরপুর ১২ নম্বর ও ৬ নম্বরের দিকে যেতে দেখা গেছে। তবে দুপুর ১২টা থেকে পূরবীর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া পূরবী সিনেমা হলের সামনে পুলিশ সদস্য মোতায়ন রয়েছে। সেই সঙ্গে বিজিবি ও র্যাবকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন বলেন, সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে আমাদের ওপর হামলা করেন পোশাক শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তারা গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে গেলে আবারও তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। আমার মনে হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু, আমরা তাদের প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিরপুর জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান মোহাম্মদ মুহতারিন বলেন, শ্রমিকরা কাফরুল ও পল্লবী থানার ওসির ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। আমরা তারপর অ্যাকশনে যাই।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ফিরোজ বলেন, শ্রমিকরা মিরপুরে বিআরটিসির ডিপোতে ঢুকে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছে। আন্দোলনকারী পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে অবরোধকারীরা থাকতে পারে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: