প্রকাশিত:
২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৪১
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের ১১৮টি শহরতলি ও গ্রামে বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের ২৭টি অঞ্চলের মধ্যে ১০টি অঞ্চলই এই আক্রমণের শিকার হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের আধিকাংশই ছিল পূর্ব এবং দক্ষিণে যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি।
আভদিভকা অঞ্চলের ভিটালি বারাবাশ নামের স্থানীয় এক নেতা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ব্যাপক গোলাবর্ষণে অঞ্চলটি মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই হামলায় দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইউক্রেন বলেছে রাশিয়া শহরটি দখল করার উদ্দেশ্যে এলাকাটি ঘেরাও করছে এবং শক্তিবৃদ্ধি করছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বাখমুতের আশেপাশের অঞ্চল পুনরুদ্ধার করা থেকে বিরত রাখতে উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহরেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
দনিপ্রো নদীর তীরে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নিকোপোলের ফ্ল্যাট, দোকান এবং একটি ফার্মেসি ব্লকে রাশিয়ান গোলা আঘাত হেনেছে, এছাড়া ক্রেমেনচুকে একটি অব্যবহৃত তেল শোধনাগারে রাশিয়ান ড্রোন হামলায় আগুন লেগে যায়। পোলতাভা কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শোধনাগারটি আরও বেশ কয়েকবার রাশিয়ান হামলার শিকার হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের শুরুর দিন গুলোতেই ক্রেমেনচুক শোধনাগারটি বোমা মেরে গুড়িয়ে দেয় রুশ সেনারা। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত যা ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার।
দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীর দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের অগ্রগতি সামান্যই। সম্মুখযুদ্ধে ইউক্রেন খুব বেশি সুফল পাচ্ছে না বিধায় পশ্চিমারা এই যুদ্ধের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে আশঙ্কা কিয়েভের।
মন্তব্য করুন: