শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে

নাটোরের ‘কালা তুফান’, দাম ২৫ লাখ

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৩, ১২:০৫

নাটোরের আমিরুল ইসলাম ‘কালা তুফান’ নামের ষাঁড়টি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন

‘কালা তুফান’ ৪০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির এক ষাঁড়ের নাম। কুচকুচে কালো ষাঁড়টির মালিক নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম। চার বছর আগে ছয় মাস বয়সের ষাঁড়টি স্থানীয় এক খামারির কাছ থেকে কিনেছিলেন ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। এবার তিনি ষাঁড়টি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন। ষাঁড়টি একনজর দেখতে কৌতূহলী লোকজন প্রতিদিন ভিড় করছেন তাঁর বাড়িতে।

 

গতকাল শুক্রবার বিকেলে আমিরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আধা পাকা একটি ঘরে ষাঁড়টি রাখা। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির পিঠে বসে আছে দুটি শিশু। পেটের নিচ দিয়ে চলাফেরা করছে আরেকটি শিশু। পাশে দাঁড়িয়ে আমিরুল ইসলাম ষাঁড়টির গা নেড়ে দিচ্ছেন।

 

 

আমিরুল জানান, হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির ওজন কেনার সময় ছিল ছয় মণ। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে শুরু থেকেই তিনি ষাঁড়টিকে চিড়া, গুড় ও অ্যাংকরের ভুসি খাওয়াতে শুরু করেন। বয়স ও ওজন হিসাব করে এটিকে খাওয়াতে থাকেন। বর্তমানে ষাঁড়টিকে প্রতিদিন আট কেজি ভুসি, দুই কেজি চিড়া ও দুই কেজি গুড় খাওয়াতে হয়।

 

ষাঁড়টি লম্বায় সাড়ে নয় ফুট এবং উচ্চতায় সাড়ে সাত ফুটের মতো। কালা তুফানের পেছনে আমিরুলের প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ। ষাঁড়টি এবার বিক্রি করতে না পারলে তাঁর পক্ষে ষাঁড়টি পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।

 

 

তবে ষাঁড়টি বিক্রি না হওয়ায় খুশি পরিবারের শিশুরা। আমিরুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে নিশাত আরা (৬) বলে, তাদের সঙ্গে ষাঁড়টির বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। সে তাদের দেখলে তেড়ে আসে না। বরং সে শিশুদের আদর পছন্দ করে। ষাড়টি বিক্রি করা হলে তারা খুব কষ্ট পাবে।

 

ষাঁড়টির নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন স্থানীয় পশুচিকিৎসক হিমেল রহমান। তিনি বলেন, তাঁর হাতেই এই ষাঁড়ের কৃত্রিম প্রজনন হয়েছিল। শৈশব থেকে তিনি ষাঁড়টি লালনপালনে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন ১ হাজার ৬০০ কেজি। এ–জাতীয় ষাঁড় সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এখন পর্যন্ত ষাঁড়টি সুস্থ আছে বলে তিনি জানান।

 

কালা তুফান সম্পর্কে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ষাঁড়টি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হচ্ছে। এটিকে যে খাবার খেতে দেওয়া হয়, তা স্বাভাবিক খাবার। তাই এটির শারীরিক গঠন সুন্দর হয়েছে। যাঁরা শখ করে কোরবানি দিতে চান, তাঁরা গরুটি কিনতে পারেন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর