রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
  • সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ দুপুরে
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে লাহোর
  • বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা-রানি
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়

বাণিজ্যমন্ত্রী

দিনমজুর-নিম্ন আয়ের লোকদের খুব কষ্ট হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:২১

বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে শহরের দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের লোকদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এমনটি বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটি হয়েছে। সামনে নির্বাচন, কাজেই এটি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে, যদি আপনারা ইতিবাচক হন। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে এটি হয়েছে। কাজেই এটি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটি নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন, তার ওপর।

আপনার তো এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে, ভোটাররা যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করে, তাহলে কী বলবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এলাকার মানুষের কষ্ট নেই। কারণ তারা আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একেক এলাকা একেক রকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা। কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার এলাকায় ১০টা মোটরসাইকেল ছিল, ২০০১ সালে। তখন আমি প্রথম নির্বাচন করি। আজ সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল।

মন্ত্রী বলেন, আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। তাদের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে, চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্নশ্রেণীর তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার নতুন করে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, দেখুন, একশ ভাগ শান্তি ঠিক করা যায় না। কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি না, তারা যদি ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তাহলে খুশি হতেন। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে, যেখানে দুপক্ষেরই রক্ষা হয়। ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনই কেবল বাড়ানো হয়নি, তাদের বেসিকের অ্যামাউন্টও বাড়ানো হয়েছে। আপনারা জানেন, সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের সঙ্গে দিনে তারা দুই ঘণ্টা ওভার টাইম করেন, একটা হাজিরা বোনাস পান। কাজেই যার বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা, তিনি কিন্তু ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা তুলবে। কথাটি সাধারণভাবে জানা যায় না। এরপরও প্রত্যেককে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, তাতে মাসে অন্তত ৫০০ টাকা সাশ্রয় হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যেটা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভালো বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারপরও কিছু বাদ থেকে যায়। আমার মনে হয়, অধিকাংশই তা মেনে নেবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর