সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
  • সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ দুপুরে
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে লাহোর
  • বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা-রানি
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়

নেত্রকোণায় হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন পালিত

মেহেদী হাসান আকন্দ,নেত্রকোণা

প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৫

বরেণ্য কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন পালন করেছে নেত্রকোণার হিমু পাঠক আড্ডা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় সাতপাই নদীর পাড় হতে হিমুপাঠকদের আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন শেষে মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার।

নেত্রকোণায় হিমু আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আলপনা বেগমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা শেষে হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিনের হিমু ও রুপাদের নিয়ে কেক কাটেন পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস।

 

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তাঁর জন্ম। ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তাঁর অন্য দুই ভাইও বরেণ্য ও প্রতিভাবান। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তাঁর ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক আহসান হাবীব।

নেত্রকোণার এই জননন্দিত কথাশিল্পী তাঁর লেখার যাদুতে যেমন আলোড়ন তুলেছিলেন, তেমনি সৃজনশীলতার সব শাখাতেই পাঠক ও দর্শকদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল সাম্রাজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, নৃপতি, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমনি, শ্রাবন মেঘের দিন, জোসনা ও জননীর গল্প, এমন ঝড় তোলার মতো উপন্যাস উপহার দিয়েছিলেন আমাদের। তাঁর বইয়ের সংখ্যা তিনশ’রও বেশি।

প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই সাড়া ফেলেন বিজ্ঞানের ছাত্র হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন উপন্যাসের নাট্যরুপ ধারাবাহিকভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হলে সেখানেও দর্শকদের সাড়া। হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত চলচ্চিত্র আগুনের পরশমনি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবন মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্র কথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত ও ঘেটুপুত্র কমলা সবগুলোই ছিল দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসা সফল। চলচ্চিত্র বা নাটকের জন্য হুমায়ূন আহমেদ গান লিখেছেন, আবার তাতে সুরও দিয়েছেন।

‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’, ‘চাঁদনী পসরে কে’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’, ‘এক যে ছিল সোনার কন্যা’, ‘আমার ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা বেড়া ভাঙ্গা চালার ফাঁকে’, চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়’ হুমায়ূন আহমেদের লেখা এসব গান আজো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিশির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।

মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হুমায়ূন আহমেদ আজো বেঁচে আছেন লক্ষ পাঠকের হৃদয়ে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর