প্রকাশিত:
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৯
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় প্রায় এক হাজার নেতা–কর্মী নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন তিনি। এ সময় দলীয় সমর্থকেরা তাঁর পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
পরে ফজলে করিম চৌধুরী পাঁচ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আসেন চট্টগ্রাম–৬–এর বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রায় এক হাজার নেতা–কর্মী ও সমর্থক ছিলেন। প্রায় সবার পরনে ছিল পায়জামা–পাঞ্জাবি ও মুজিব কোট। তাঁরা আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক ও ফজলে করিম চৌধুরী পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও দল মনোনয়ন দিয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এ ছাড়া রাউজানে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে ভোট ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে আসছেন।
এবারের নির্বাচনে অন্য কেউ প্রার্থী হলে স্বাগত জানাবেন কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি অংশগ্রহণ করুক৷ বিএনপিকেও আহ্বান জানাব তারা যেন অংশগ্রহণ করে। অন্য যে কেউ, যত দল, বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র যা কিছু আছে সবাই আসুক। খেলার মাঠে আমি খেলতে চাই। গোলকিপার ছাড়া আমি গোল দিতে চাই না। সবাই আসুক, অংশগ্রহণ করুক। জনগণ তার রায় প্রদান করবে। আমি নতুন না, চাই সবাই অংশগ্রহণ করুক।’
শোডাউন ও মিছিলের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে পরে জানতে চাইলে মুঠোফোনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করিনি। নিয়ম মেনে শুধু পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আদালত এলাকায় অনেক লোকজন থাকে। আমাকে দেখে হয়তো আবেগে অনেক লোক জড়ো হয়ে যেতে পারেন। তাঁদের শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে অনেক বুঝিয়েছি।’
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে বেশি লোক ছিল না জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমার অফিসে যখন এসেছেন, তখন লোক বেশি ছিল না। পাঁচজন ছিল। আমি ওনাকে বলেছি শোডাউন করা যাবে না। তিনি (ফজলে করিম চৌধুরী) বলেছেন, এটা আসলে অনেক সমর্থক জানেন না। এখানে অনেক উৎসুক জনতা রয়েছে। এটা কোর্ট বিল্ডিং (আদালত ভবন)। হাজার হাজার মানুষ আসেন। এখানে যখন একজন প্রার্থী এসেছেন, তখন অনেকেই ভিড় করেছেন, বিষয়টি তিনি আমাদের জানিয়েছেন। যদি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমরা তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চাইব।’
মন্তব্য করুন: