প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪১
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে গত দুই দিন সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হচ্ছিল। ডিসেম্বরের এ বৃষ্টিই রাজধানীতে শীত নামিয়ে আনবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা অনুভূত হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমার পর শীত অনুভূত হবে।
অর্থাৎ মিগজাউমের প্রভাবে শীতের আগমন আরও কয়েক দিনের জন্য পেছাল। এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত অনুভূত হতে পারে। রাজধানী ঢাকায় এই সময়ে তাপমাত্রা কমলেও শীত ততটা অনুভূত হবে না।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ( ৯ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে (১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম)।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকালে বলেন, ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ভূমির দিকে চলে আসায় ভূমি এলাকার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে শীত কম অনুভূত হয়। লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বলা যায়, মিগজাউমের প্রভাবে শীত এবার কিছুটা দেরিতে আসছে।
গত দুই দিন বৃষ্টি থাকায় সারা দেশে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। তবে সেটিকে সাময়িক বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। তবে আজ সারা দিন তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। ফলে দিনের বেলা শীত সেভাবে অনুভূত হবে না। আজ তাপমাত্রা শুষ্ক থাকবে। তবে আজ রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। ফলে রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হবে। ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সারা দেশে শীত অনুভূত হবে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ, সিলেট ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় রাতে শীত অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে এসব অঞ্চলে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হবে।
এ মাসের শেষ দিকে কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ হলেও ঢাকা ও উপকূলীয় এলাকায় এর কোনো প্রভাব থাকবে না। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ঢাকাসহ বড় নগরে যানবাহন বেশি চলে। কংক্রিটের শহর। এসব এলাকায় তাপমাত্রা কমবে না সেভাবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও সেভাবে শীত অনুভূত হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মন্তব্য করুন: