প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০৬
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আরও একবার নির্বাচনে লড়বেন তিনি। ২০০৮ সালের তুলনায় এখন তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১১ গুণ। আগে শুধু ব্যবসা থেকে আয় এলেও এখন কৃষি ও মৎস্য খাতে নতুন করে বিনিয়োগ করেছেন ফজলে করিম চৌধুরী।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
১৫ বছর আগে ২০০৮ সালে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এই টাকা আসত ব্যবসা খাত থেকে। এখন তাঁর বার্ষিক আয় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
১৫ বছর আগে শুধু ব্যবসা খাত থেকে আয় হলেও এখন খাত যেমন বেড়েছে, তেমনি আয়ও বেড়েছে। ভাড়া খাত থেকে আসে ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আসে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর মেসার্স রাউজান ডেইরি ফার্ম ও মেসার্স রাউজান মৎস্য খামার থেকে তাঁর বছরে আয় ৯৫ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে অবশ্য এ ধরনের কোনো ব্যবসা ছিল না তাঁর।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিজের পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। এখন তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচটি। এগুলো হচ্ছে মেসার্স ফজলে এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ফজলে শিপিং লাইন, মেসার্স রাউজান মৎস্য খামার, মেসার্স রাউজান ডেইরি ফার্ম এবং মেসার্স এবিসি এন্টারপ্রাইজ।
স্নাতকোত্তর করা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে তিনটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং খালাস পেয়েছেন দুটি থেকে।
১৫ বছর আগে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৮৩ লাখ টাকার। এখন তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫ গুণ অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকে জমা আছে ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে অবশ্য জমা ছিল ১২ লাখ টাকা।
এখন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। এর মধ্যে দুটি দালানের দাম ১০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালে নিজের নামের পাশাপাশি যৌথ মালিকানায় সম্পত্তি ছিল তাঁর। এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর আগে কোনো দায়দেনা ছিল না, এখনো নেই।
মন্তব্য করুন: