প্রকাশিত:
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:২৫
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি মমিনুল ইসলামকে (৩০) দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে জখম করেছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ঘনিয়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক মমিনুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার দেওনায়নজী কান্দি গ্রামে। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালবেলা ও চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আদি বাংলা পত্রিকার মতলব উত্তর উপজেলা প্রতিনিধি।
লিখিত অভিযোগে মমিনুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, গত ১০ নভেম্বর দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড় এলাকার মো. আমির হোসেন মোল্লা, মো. রাজিব মৃধা ও মো. মিজান মোল্লার বিরুদ্ধে গরু চুরি, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা নিয়ে তাঁর করা একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশের পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিদিন বিভিন্নভাবে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিছু দূর আসার পর কয়েকজন সঙ্গীসহ ওই তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এরপর তাঁকে লোহার রড, লোহার ছেনা ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতে তাঁর পিঠ, মাথা, দুই হাতসহ শরীর বিভিন্ন অংশে জখম হয়। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর স্বজনেরা এসে মমিনুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মমিনুল ইসলামের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁর চিকিৎসা চলছে। অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে বলে জানান তিনি।
মমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গরু চুরি, মাদক সেবন, বিক্রিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সেগুলো নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। পরে মামলা করবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মো. আমির হোসেন মোল্লা, মো. রাজিব মৃধা ও মো. মিজান মোল্লার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁরা এলাকায় নেই।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ মোবারক বলেন, এ–সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
মন্তব্য করুন: