প্রকাশিত:
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৭
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে চীনের গানসুতে নিহতের সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গানসু হাউটিয়ান ইমার্জেন্সি রেসকিউ কর্পসের একজন ক্যাপ্টেন বলেছেন, কিছু লোককে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় উদ্ধার অভিযান চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
ইমার্জেন্সি রেসকিউ কর্পসের ওই ক্যাপ্টেন আরো বলেন, ‘উদ্ধার অভিযানের সময় সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রা এবং নিম্ন তাপমাত্রার কারণে এমনটা হচ্ছে।
হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী শূন্য তাপমাত্রায় কাজ করছে। দেশটির অধিকাংশ সড়ক বরফে ঢেকে গেছে। উত্তর চীনজুড়ে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। সেখানে দমকলকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা মাইনাস ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়েসের মধ্যে বেঁচে যাওয়া মানুষের সন্ধান চালাচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, আরো আফটারশক হতে পারে।
এদিকে গানসু কর্তৃপক্ষ আরো জরুরি কর্মীর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উদ্ধার কাজের জন্য জরুরিভাবে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রয়োজন ।’ ভূমিকম্পে উত্তর-পশ্চিম চীনের গানসুতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, কিংহাইত প্রদেশেও আরো দুজন মারা গেছে।
এতে মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গানসুতেও প্রায় ১০৫ জন মারা গেছে, উভয় প্রদেশে মোট ২৬৬ জন আহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ আছেন ২০ জন।
কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দ্রুত অস্থায়ী শিবির স্থাপন করেছে। গানসু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫ হাজার ভবন ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান (২৮ মিলিয়ন ডলার) গানসু এবং কিংহাই প্রদেশে বরাদ্দ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তহবিলগুলো চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরাদ্দ করেছে।
চীনা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ চেন হুইজং গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হয়েছিল এবং মাঝরাতে কম্পনের সময় অনেকেই ঘুমাচ্ছিলেন। এলাকার ভবনগুলোর ভূমিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং পূর্বাঞ্চলের ভবনগুলোর মতো শক্তিশালী নয়। তাই মৃতের সংখ্যা অনেক।
মন্তব্য করুন: