প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৩
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রাখে ভোটারদের মাঝে বাড়ছে উত্তাপ ইতিমধ্যে নরসিংদী-৫(রায়পুরা) আসনে নৌকার মনোনিত প্রার্থী বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর সাবেক সফল মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপিকে ৭ম বার বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা মরজাল ওয়ার্ডার পার্কে এ মতবিনিময় সভা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা আ' লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এড্য. ইউনুস আলী ভূইয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৭ম বারের নৌকার মনোনিত প্রার্থী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক সফল মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি।
উপজেলা আ' লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি, অলিপুরা ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি এবং আল-আমিন ভুইয়া (মাসুদ)ও সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল, পাড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস কামাল জুয়েল প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মো জামাল মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শাহিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মিলন মাষ্টার প্রমূখ।
এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ইউপি সদস্যরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের হাত ধরে ৫৩ বছরের রাজনীতিতে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। ১৯৯৬ সালে দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন পর্যন্ত রাস্তা ঘাটসহ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন ব্যাপক পরিবর্তন করতে সক্ষম হই। এ নির্বাচন ওই আমার শেষ নির্বাচন। আগামীতে মেঘনা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ, চরে থানা স্থাপনসহ অসমাপ্ত কাজগুলো করতে চাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানকে টাকা খরচ করে আমিই উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে ছিলাম। সে আমার হাত ধরে রাজনীতিতে এসে ছিলো এখন সে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। ৫৩ বছরের রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই যা করেছি মানুষের জন্যই করেছি। রায়পুরার মানুষের এবং তৃনমুল নেতাকর্মীদের অন্তরে হৃদয়ে ভালবাসা টাই চরম পাওয়া। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। আশাকরি আগামীতেও আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আগামী নির্বাচনে সবাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করুন।"
নেতাকর্মীরা বলেন, ’৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে রাজিউদ্দিন রাজু এমপি নির্বাচিত হয়। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে তার নিকট হেরে যান আবদুল আলী মৃধা। ২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচনে নৌকার কাছে বিএনপির নেতা জামাল চৌধুরী বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে তিনি নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন। ছয়বারের সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবারো সপ্তমবারের মতো বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অপরদিকে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীধের বিপরীতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কৌশক ডামি সতন্ত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীকে প্রতিদ্বন্দ্বীই মনে করছেন না তারা।
জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে নৌকার প্রার্থী সাংসদ ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে আ’লীগের দখলে এ আসনটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের হেভিওয়েট ১১ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে পরাজিত করে রাজু এবারও দলীয় নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি ৯ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে লড়বেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদের বিপরীতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কৌশক ডামি সতন্ত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীকে প্রতিদ্বন্দ্বী করবেন। জাতীয় পার্টির ইন্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম দলীয় পথিক লাঙ্গল নিয়ে লড়বেন। অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় সেই সুযোগে ফাঁকা মাঠ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় চষে বেড়াচ্ছেন আ’লীগের প্রার্থী রাজু এমপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ অন্য অন্য দলগুলো। জাতীয় পার্টি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চা'য়ের আড্ডায় কিংবা সর্বমহলে নির্বাচনী মাঠে চলছে নানা হিসাব নিকাশ।
২৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বৃহত্তর এ আসনে প্রায় আড়াই লাখ ভোটার রয়েছে।
মন্তব্য করুন: