মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ইবাদত বন্দেগীর কিছু জিনিস অবশ্য-পালনীয় আর কিছু ঐচ্ছিক।
অবশ্য-পালনীয় ইবাদতসমূহের গুরুত্ব ঐচ্ছিক ইবাদতসমূহের চেয়ে বেশি এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
স্পষ্টভাবে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ‘বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য অর্জন করে ফরয ইবাদতের মাধ্যমে।’
তবে নফল ও ঐচ্ছিক ইবাদতের ফযীলতও এত পরিমানে বেশি যে, তা মুমিনকে ইবাদতের প্রতি উজ্জীবিত ও আগ্রহী করে তোলে। সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোযা রাখা তন্মধ্যে অন্যতম।
নফল রোযার রাখার অনেক প্রকার ও অনেক ফযীলত হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও নফল রোযা রেখেছেন, উম্মতকেও এর ফযীলত শুনিয়েছেন এবং তাদের রাখার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করেছেন।
সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা সম্পর্কে হাদীস শরীফের অন্যতম গ্রন্থ তিরমিযী শরীফের ৭৪৫ নং ও ৭৪৭ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেছেন-
كَانَ النبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَتَحَرّى صَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার ইহতিমাম করতেন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالخَمِيسِ، فَأُحِبّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ.
প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (বান্দার) আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমি ভালবাসি রোযাদার অবস্থায় আমার আমলসমূহ পেশ করা হয়।
আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাহকে বৃহস্পতিবার ও সোমবারের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।
মন্তব্য করুন: