প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪২
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পরেই মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। বগুড়ার ৭টি আসনে আওয়ামী, জাতীয় পার্টি, জাসদ, তৃনমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেসসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ৫৪ জন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বগুড়া-১ আসনে বেশ ক'জন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন।
এসব প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাহাদারা মান্নান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল, পুলিশের এক ডিআইজির পতœী শাহাজাদি আলম লিপি ও সাবেক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শোকরানা।
প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রত্যেক প্রার্থী তাদের এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ এবং তাদের কর্মী সমর্থকরা মিছিল মিটিং করছেন। এ সকল প্রার্থীদের মধ্যে কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মাঝে তাকে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি তার এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার ঝুলানো শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি ভোট চেয়ে পাড়া-মহল্লায় এবং রাস্তায় রাস্তায় মাইক বাজানো হচ্ছে।
তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোটারদের। করছেন উঠান বৈঠক। গণসংযোগে গেলে ভোটাররা তাকে ঘিরে ধরছেন এবং তার কাছে নানা দাবী দাওয়ার কথা তুলে ধরছেন। তিনিও এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে চর অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল বলেন, ‘আমাদের এলাকার মূল সমস্যাই হলো বেকারত্ব। কৃষক, শ্রমিকসহ ও বিভিন্ন পেশার যেসব মানুষ আছেন, তাদের পেশাগত কিছু জটিলতা আছে। যেমন- চর এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারেন না। ফলে বাজার মূল্য তারা পান না। শ্রমের বাজারেরও একই অবস্থা। এখানকার মানুষের ইনকাম বাড়াতে হলে বিনিয়োগ লাগবে।
সেই বিনিয়োগটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতে পারে শিল্পখাতে হতে পারে, সেবা খাতে হতে পারে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে হতে পারে। এগুলো আমার একটা একটা করে আসনটিতে সাজাবো এরকম পরিকল্পনা রয়েছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সারাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সারিয়াকান্দি-সোনাতলার সুষম উন্নয়ন যাতে ঘটে সেই চেষ্টা থাকবে।
মন্তব্য করুন: