দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বাড়ছে উত্তাপ ইতিমধ্যে নরসিংদী-৫ রায়পুরা আসনে সাংসদ ও আওয়ামী লীগের মনোনীত পদপ্রার্থী বর্ষীয়ন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি সপ্তমবারের মতো জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই ভাবনাহীন শক্ত অবস্থানে বিজয়ের পথে আছেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
আসনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চা'য়ের আড্ডায় কিংবা সর্বমহলে নির্বাচনী মাঠে চলছে নানা হিসাব নিকাশ।
দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় ডামি সতন্ত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীকে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও জেলার মধ্যে তিনিই এবার চিন্তামুক্ত রয়েছেন। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও এবার নেই। ফলে নির্বাচনে জয়ী হতে কিছুটা টেনশনমুক্ত বলা যায়।
রাজু’র সমর্থক মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ছয়বারের সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ভাইকে নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে দলিয় নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।’
রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের হাত ধরে রাজনীতি শুরু। ৫৩ বছরে রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই, নিজের জন্য কিছুই করেনি, যা করেছি দেশ ও মানুষের জন্যই করেছি। রায়পুরার মানুষের এবং তৃনমুল নেতাকর্মীদের ভালবাসা অন্তরে, হৃদয়ে স্থান করে নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। আমার স্থানটা আর কেউ দখল করতে পারবে না। দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা দিয়ে এমপি জীবন শুরু করেছিলাম। এখন পর্যন্ত রাস্তা ঘাটসহ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন ব্যাপক পরিবর্তন করতে সক্ষম হই। আগামী নির্বাচনে সবাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করুন। প্রতিপক্ষ শক্ত বা দুর্বল এটা বিষয় নয়। নির্বাচনে শতভাগ বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।"
জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে আ’লীগ তথা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির দখলে এ আসনটি। ষষ্ঠ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের হেভিওয়েট ১১ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে বাদ দয়ে রাজু এবারও দলীয় নৌকা প্রতীক দেন। এ নির্বাচনে ৯ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে লড়বেন। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদের বিপরীতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কৌশক ডামি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বী করতে পারেন। অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় সেই সুযোগে ফাঁকা মাঠ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় চষে বেড়াচ্ছেন আ’লীগের প্রার্থী রাজু এমপির কর্মী সমর্থকরা।
উলেখ্য, ২৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বৃহত্তর উপজেলা নিয়ে এ আসনটিতে মোট ভোট কেন্দ্র ১৬৩ টি ভোট কক্ষ ৯৮৩ টি মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫৫২৯৭ জন।
মন্তব্য করুন: