বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু
  • মাঠ পর্যায়ে অনিয়ম পেলে কোম্পানির অ্যাগ্রিমেন্ট বাতিল
  • বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনাসদস্য নেবে কাতার
  • বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৬২০ মামলা
  • বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ নিতে ড. ইউনূসের আহ্বান
  • ফিলিস্তিনের মানবিক দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের নয়, মানবতার বিষয়
  • ইশরাকের গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে ইসির চিঠি
  • প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা মেনেই বৈঠক করা হচ্ছে
  • ‘ডিবিতে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি আগুনে পুড়ে গেছে’

সিপিডি

১৫ বছরে ঋণ জালিয়াতিতে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৫০

২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনীতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৪টি বড় ধরনের ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংকলন করে আর্থিক খাত থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের এ চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি।


সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের বড় ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ব্যাংকিং খাত মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের হাতে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তারে ব্যাংকগুলোকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করেছেন।’

ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, ‘খেলাপি ঋণের উচ্চহার ও অর্থনৈতিক সূচকগুলো নিম্নমুখী হওয়ায় এর দুর্বলতাগুলো প্রকাশ পেয়েছে।


এগুলো সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। দুঃখজনকভাবে ব্যাংকিং খাতকে রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পূরণ হচ্ছে না। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো যথেষ্ট নয়।’
সিপিডি বলছে, খেলাপি ঋণ (এনপিএল) এখনো অনিয়ন্ত্রিত।


এটি আর্থিক খাতের জন্য হুমকি। সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত ধারাবাহিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সিপিডির দেওয়া তথ্যমতে, ২০১১-২০১২ অর্থবছর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪০ কোটি টাকা হয়েছে।

এতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা ঋণ, শ্রেণিকরণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ঋণ ও পুনঃতফসিল করা ঋণ যোগ করা হলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হবে বলেও জানিয়েছে সিপিডি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর