প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২৩, ২২:১৬
এখন শুধু শুভদিনের অপেক্ষা। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল নগরবাসীর ভাগ্য বদলের জন্য নৌকা মার্কার প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন। খোকন সেরনিয়াবাতের হাত ধরে বরিশালের সকল হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুন বরিশাল গড়ে উঠবে।
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে গণসংযোগকালে কথাগুলো বলেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গঠিত সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের নেতৃত্বে নগরীর প্রানকেন্দ্র সদররোডস্থ এলাকা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ন বিভিন্নস্থানে প্রচার ও গণসংযোগ করেন নেতৃবৃন্দরা।
গণসংযোগকালে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ভাগ্য বদল হবে বরিশালের মানুষের। আর এই ভাগ্য বদলের কারিগর হবেন নৌকার প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে খোকন সেরনিয়াবাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন উল্লেখ করে নানক আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে উন্নয়নমূলক কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক বিগত দশবছরে বরিশাল নগরীতে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বরিশাল নগরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটনাতে তার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে নৌকা প্রতীক দিয়ে পাঠিয়েছেন। এরমাধ্যমে বরিশালবাসীর দুর্ভাগ্য কেটে গেছে। এখন শুধু শুভদিনের অপেক্ষা। খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ভাগ্য বদলের জন্য মনোনয়ন দিয়ে পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস খোকন সেরনিয়াবাত হবেন, বরিশালের উন্নয়নের নতুন কারিগর। আর এজন্য আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে নগরবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে খোকন সেরনিয়াবাতকে জয়যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় টিমের সমন্ময়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, বরিশালের উন্নয়নের জন্য খোকন সেরনিয়াবাতকে নির্বাচিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। খোকন ভাইয়ের মতো সৎ, যোগ্য, মেধাবী, নির্লোভ ও বিচক্ষণ প্রার্থী আর নেই। বিগত সময়ে নগরীর উন্নয়নে যতো ঘাটতি হয়েছে, নৌকা মার্কাকে এবার নির্বাচিত করা হলে সব পুষিয়ে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিশালকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে তার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে পাঠিয়েছেন। তাই নগরবাসীকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকার মার্কায় নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। কেন্দ্রীয় টিমের গণসংযোগে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
৩৫ দফার ইশতেহার ঘোষণা ॥ আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ‘নতুন বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার-জয় হোক শেখ হাসিনার’ শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে নগরবাসীর ৩৫টি সমস্যা তুলে ধরে তা দূর করার অঙ্গীকার করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর বগুড়া রোডস্থ ক্রাউন কনভেনশন কমিউনিটি হল রুমে মেয়র প্রার্থী গণমাধ্যম কর্মী, দলীয় নেতাকর্মী এবং সচেতন নগরবাসীর উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারী আফজালুল করীম, অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক, কে বি এস আহমেদ কবীর, আনিস উদ্দিন শহীদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইসাহাক আলী খান পান্না, জাসদ নেতা এইচ এম মহসিন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মাহমুদুল হক খান মামুন উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত বরিশাল নগরীর উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ বিশেষজ্ঞ সমন্বিত পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় একটি উন্নত জনবান্ধব বরিশাল নগরী করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরনের লক্ষে বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারসহ নতুনভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হবে। নগরীর বর্ধিত এলাকার পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করাসহ বিদ্যমান রাস্তাঘাটের সংস্কার ও নতুন রাস্তা নির্মান করা হবে। জবাব দিহিতা নিশ্চিতকরণে ‘জনতার মুখামুখি মেয়র’ শীর্ষক নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যা সমাধান নিশ্চিত করা হবে। ‘সবার বরিশাল’ শীর্ষক অ্যাপের মাধ্যমে নগরবাসীর কাছ থেকে নাগরিক সমস্যার অভিযোগ গ্রহন করে তা সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে সমাধান করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দূর্নীতি ও মাদকমূক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নগরীর হকারদের পূর্নবাসিত করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরায় নিয়ে আসার মাধ্যমে ডিজিটাল বরিশাল গড়ে তোলা হবে। নগরীর রাস্তার নাম মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনদের নামে নামকরন করা হবে। বরিশাল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নগরীতে বিনোদন কেন্দ্র ও পার্ক নির্মাণ করা হবে। বরিশালকে শিল্প, বাণিজ্য ও একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বিভিন্ন উন্নয়নের ৩৫ দফার কথা উল্লেখ করে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন,আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে, সততার সহিত কাজ করার মাধ্যমে বরিশালকে উন্নত একটি শহর গড়ার মাধ্যমে নগরবাসীর শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
যুব মহিলা লীগের মিছিল ॥ আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সভায় বক্তারা বলেন, খোকন সেরনিয়াবাত সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি। তাকে বরিশালবাসীর জন্য মনোনীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র নির্বাচিত হলে বরিশাল হবে উন্নয়নের রোল মডেল। বরিশালকে আর পিছিয়ে থাকতে হবেনা। এখানে সরকারের বরাদ্দও যেমন আসবে, তেমনি দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তা আসবে। বিশেষ করে খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালকে একটি নারী বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। সভা শেষে জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের আয়োজনে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মীনি লুনা আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নগরীর সদর রোডে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নৌকা মার্কার সমর্থনে মিছিল বের করেন। মিছিলে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী কামরুন্নাহার সুমি, এমবি কানিজ, জাকিয়া জামান নিপা, রাফিয়া আক্তার মির্জা, ইশাত কাশফিয়া ইরা, মাসুমা আক্তার পলি, তাসলিমা আক্তার, মিতু আক্তার, সাবরিনা ইতি, রাবেয়া আক্তার, শেখ লাবনি, মনিরা মিম, আমিনা আক্তার রাত্রি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কঠোর নির্দেশ ॥ বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েতউদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাককে নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের বিজয় নিশ্চিত করতে জেলার সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে সকল ইউনিটকে নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিমউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী মাঠে তারা নিস্ক্রিয়। তাই তাদের সক্রিয় হওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্রমতে, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। আর মাত্র তিনদিন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনার সময় বাকি রয়েছে। গত ২৬ মে থেকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারনা শুরু হলেও এখনো সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে। সিটি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তার অনুসারী বর্তমান কমিটির ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা অনেকটা নিস্কিয় রয়েছেন।
বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে ॥ জতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, ততোই কালো টাকা ও বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারলাম, নৌকাকে ডুবাতে বর্তমান মেয়র ও তার বাবা হাতপাখার প্রার্থীকে তিন কোটি টাকা দিয়ছে। তারা ধর্ম ব্যবহার করে ভোট চাইছে। এসব বিষয় তদন্ত করার কোন লক্ষন দেখছিনা। তাপস আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী প্রতিমুহুর্তে নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী অফিস করেছে, অনেক সরকারি জায়গায় অফিস করেছে কিন্তু এ বিষয় রিটার্নিং কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। বুধবার সকালে বরিশাল সিটি করপোরেশন, ফলপট্টি ও গীর্জা মহল্লা এলাকায় গণসংযোগকালে তাপস আরও বলেন, আমি ৩০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছি। আমার ঘোষণা পরিপূর্ণভাবে পালন করবো। প্রশ্ন রেখে তাপস বলেন, ডিজিটাল সরকারের বিদ্যুত গেলো কোথায়? জনগণ জানতে চায়। জাতীয় নির্বাচন কিন্তু সন্নিকটে, তাই বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নতি করুন, লুটপাট বন্ধ করে টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন, দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করুন। জিনিসপত্রের দাম লাগামের মধ্যে আনুন।
বিএনপির ভোট টেবিল ঘড়িতেই পড়বে ॥ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপির সব ভোট টেবিল ঘড়ি মার্কায় পড়বে। যেকারণে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা এখন চরম শংকিত। রূপন আরও বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারে দেশের সাধারণ মানুষ চরমভাবে অতিষ্ঠ। বিদ্যুতের লোডশেডিং দেশের মানুষ যখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে, তখনও ক্ষমতাসীনরা তাদের ভুল স্বীকার না করে দম্ভ দেখাচ্ছে। তাই বরিশালের মানুষ এবার মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে। বুধবার সকাল থেকে তিনি (রূপন) নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, সার্কিট হাউজ, কাকলীর মোড়, বিবির পুকুর, গীর্জা মহল্লা এলাকায় গণসংযোগকালে আরও বলেছেন, বরিশাল হচ্ছে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। বিপরীতে বরিশালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এখানে নৌকার ভরাডুবি হবে। অনেক প্রার্থী আশা করছেন তারা বিএনপির ভোট পাবেন কিন্তু ভোটারগণ অনেক সচেতন। তারা নিশিরাতের অবৈধ সরকার ও তাদের সহযোগি দোসরদের প্রার্থীদের ভোট দেবেনা। রূপন আরো বলেন, গাজীপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও নায়ক-নায়িকা দিয়ে প্রচারণা করেও জনগণের কাঙ্খিত ভোট নৌকায় নিতে পারেনি, বরিশালেও তারা পারবেনা। একইদিন নগরীর পলাশপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপনের টেবিলঘড়ি মার্কার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন রূপনের স্ত্রী হুমায়রা মিরাজ।
নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে ॥ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বেকারত্ব আজ দেশের জন্য বড় এক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদেশের সাথে আমাদের বরিশালও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি বিজয়ী হলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বরিশালের বেকার নারী-পুরুষদের বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বুধবার সকালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরজাগুয়া এলাকায় গণসংযোগকালে ফয়জুল করীম আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল হাতপাখার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা দেখে গুজব ছড়িয়ে ভোটারদেরকে প্রতারিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমরা আইনীভাবে এর মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। একইদিন হাতপাখার প্রার্থী নগরীর ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
মন্তব্য করুন: