প্রকাশিত:
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৬
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাহার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যবিধ সরকারি সুবিধা ভোগ করিতে পারিবেন না এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারিকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কোনো প্রার্থী প্রচারণার কাজে তাদের ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তিনি নির্বাচনের আগে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে অংশ নিতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠানের সভায়ও অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন প্রণীত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় (জারি-২০০৮ সংশোধন-২০১৩) এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা আছে।
শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, কোনো প্রার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হলেও তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তাকে অবশ্যই আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে হবে।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা ও ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে সংশোধিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার বিধি-১৪ (৪) এ বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে পূর্বে সভাপতি বা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত হলে বা কোনো মনোনয়ন পেয়ে থাকলে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে তিনি বা মনোনীত ব্যক্তি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করবেন না বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজে অংশ নেবেন না।
ওই বিধিমালার ১৪ (২) বিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যবিধ সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না এবং এ উদ্দেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এই পরিপত্র জারির পূর্বে তেমন কোন বিধি নিষেধ না থাকায় অবাধে স্কুল- কলেজের শিক্ষকগণ অন্যান্য সময় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতো।
এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং তা প্রতিপালনের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: