জীবনের লক্ষ হলো ব্যক্তিগত এবং সাধারণতঃ সামান্য যে উদ্দেশ্য বা লক্ষ ব্যক্তি নিজের জীবনে অর্জন করতে চায়। এটি ব্যক্তি জীবনে একটি দিকনির্দেশক প্রণালী হিসাবে কাজ করে এবং স্বপ্ন ও উচ্চতার পথে ধাবন করে।
জীবনের লক্ষ নির্ধারণ করতে হলে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এটি আপনাকে অর্জনযোগ্য, উন্নতিমূলক ও পরিপূর্ণতাযুক্ত কার্যকলাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
জীবনের লক্ষ আপনাকে পরিচালিত করে একটি সুশক্ত উদ্দেশ্য, আগ্রহ বা উৎসাহে যা নিজের স্বপ্ন, তত্ত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেশ্য সাধনে আপনাকে নির্দেশ করে। এবং সৃজনশীল ও সন্তুষ্ট একটি জীবন গঠনে উৎসাহিত করে।
জীবনে কী হতে চান সেটা যদি আপনার কাছে পরিষ্কার না থাকে তাহলে আপনি কোথাও পৌঁছাতে পারবেন না। আবার লক্ষ্য নির্ধারণের পর যদি তাতে অনড় বা লক্ষ্যার্জনে তৎপর না থাকেন তাহলেও হয়তো সাফল্যের কাছাকাছি গিয়েও লক্ষ থেকে ছিটকে পড়বেন। হতাশ হবেন।
আসলে সৃষ্টির সেরা জীব হওয়ার সত্ত্বেও জীবনে বড় কিছু করার চিন্তা না করা মানে নিজের সক্ষমতাকে হেয় করা।
ছোটবেলায় ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ শিরোনামে রচনা ‘লক্ষ্যবিহীন জীবন মাস্তুলবিহীন জাহাজের ন্যায়’- লিখতে গিয়ে হাজারবার আমরা এই কথাটি ব্যবহার করেছি। কিন্তু ঝাড়া মুখস্ত করলেও জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থীর করিনি অনেকেই। যাও-বা আছে তা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা বিসিএস ক্যাডারের মতো অল্প কয়েকটি পেশার মধ্যেই সীমিত।
আবার অনেকে কোনোরকম একটি লক্ষ্য স্থির করলেও তাতে তাদের আস্থা বা একাত্মতা নেই, বা লক্ষানুকরণে জোরদার নয়- হালের বাস্তবতা এটাও।
বড় কিছু করার জন্যেই পৃথিবীতে আপনার আবির্ভাব- জীবনের এই উদ্দেশ্য অনুধাবন আপনাকে উন্নতভাবে বাঁচতেও সহায়তা করবে।
তাই বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, লক্ষ্যে অনড় থাকুন এবং লক্ষ্যার্জনে ক্রমাগত প্রয়াস চালান। আপনি হবেন সফল, স্মরণীয়-বরণীয়।
মন্তব্য করুন: