প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:০৮
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাই মাহফুজের (২০) লাঠির আঘাতে বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর টুমচর গ্রামের মাঝি বড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত জাহাঙ্গীর ওই বাড়ির নুর মোহাম্মদের মেঝো ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা (মিশুক) চালক। জাহাঙ্গীরের ৮ ও ৩ বছরের দু'টি সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, তার ছোট ছেলে ইয়ামিন খেলার চলে দাদা নুর মোহাম্মদের ঘরে লাঠি নিক্ষেপ করে। এতে আলমারির গ্লাস ভেঙে যায়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে ঝগড়া হয়। এই নিয়ে তার শ্বশুর নুর মোহাম্মদ, শ্বাশুড়ি রহিমা খাতুন, ননদ দোলা, মৌসুমী এবং দেবর মাহফুজ এসে ঝগড়া করে।
এ সময় তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে আসলে তার সাথেও ঝগড়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মাহফুজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার বড়ভাই জাহাঙ্গীরের মাথায় আঘাত করে।
তার দাবি- শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর এবং ননদেরা একত্রিত হয়ে তার স্বামী জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মাহফুজ লোহার রড দিয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত জখম হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত মাহফুজ বখাটে প্রকৃতির। তারা চারভাই, কারো সাথে কারো মিল নেই।
পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর ও তার বাবা নুর মোহাম্মদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে নুর মোহাম্মদ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার ছোট ছেলে মাহফুজ লোকজন নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি জাহাঙ্গীরকে আঘাত করে। যাবার সময় তাকে যেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না হয়- সে হুশিয়ারী দিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
মন্তব্য করুন: