প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১১
নরসিংদীর রায়পুরায় 'রায়পুরা রানার এসোসিয়েশন' নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে ‘আল্ট্রা ম্যারাথন দৌড়’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার নরসিংদী জেলার সদর শিক্ষা চত্বর থেকে ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে প্রতিযোগিতারা দৌড় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত রায়পুরার নূরপুর মেঘনা নদীর পাড় পর্যন্ত এসে শেষ হয়। সারাদেশ থেকে আসরা অর্ধ শতাধিক সব বয়সী নারী পুরুষ রানার দূরপাল্লার আলট্রা ম্যারাতন প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন ও নাগরিকদের সুস্থভাবে জীবনযাপনে উৎসাহিত করার জন্য রান ফর ভেসেল এই লক্ষ্যে উপজেলার "রায়পুরার রানার এসোসিয়েশন" আল্ট্রা ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়। হালকা কুয়াশায় আর সুন্দর গ্রামীণ প্রকৃতির মাজে সারাদেশের অর্ধশত জনের বেশি প্রতিযোগী অংশ নেয় ম্যারাথন দৌড়ে।
শুক্রবার সূর্য ওঠার আগে শুরু হয় আল্ট্রা ম্যারাথন দৌড়। অংশগ্রহণকারীরা নরসিংদীর শহর শিক্ষা চত্বর থেকে দৌড় শুরু করে রায়পুরা-নরসিংদী সড়ক ধরে নুয়াদিয়ার, পুটিয়া, হাসনাবাদ, কুটির বাজার, যোশর, মরজাল, রায়পুরা, পলাশতলী, জামতলী, বাঙালি নগর, চরসুবুদ্দি, আবদুল্লাহপুর, মল্লিকপুর, নূরপুর, গ্রামের মেঠো পথ ধরে এই বিশাল সবুজে ঘেরা অপূর্ব মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে দৌড়ে ৭৫ বছরের বয়বৃদ্ধ থেকে শুরু করে তরুণ, তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এ ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে পলাশতলীর বিরামপুর মেঘনা নদীর তীরবর্তী এসে বেলা সাড়ে ১২ টায় শেষ হয়। সারাদেশ থেকে আসা প্রতিযোগিতারা দুটি ক্যাটাগরিতে চারশত জন অংশগ্রহণ করেন। ৫০ কিলোমিটার দৌড়ে ৫০জন অংশ নেন।
দৌড়ে ৫ জন বিজয়ী হয়। পরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার সনদ তুলে দেন।
ঢাকা থেকে আসা পঞ্চাশউর্ধ দৌড়বিদ আ খম হাসান বলেন, আমি একজন ঔষধ কোম্পানির সিইও দীর্ঘদিন যাবত দৌড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আসছি। দেশ এবং বিদেশের কয়েকটি ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আসছি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই বৃদ্ধ বয়সে এসেও এ চেষ্টা। তরুন প্রজন্মের প্রতি পরামর্শ আগামীতে শরীর সুস্থ রাখতে রানার্স হও। সবুজে গেঁড়া গ্রামীণ রাস্তার চারপাশে গাছপালা হলুদের মাঠ অসাধারণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ খুবই আনন্দ লাগছিলো। গ্রাম্য লোকজন পথিমধ্য বলতে শুনেছি, আপনারা কেন দৌড়ান? ঢাকায় থেকে ডায়াবেটিস বেশি হয়েছে এই জন্য দৌড়ান?
চট্টগ্রাম থেকে আগত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন কারি নূরুল্লাহ বলেন, ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে দৌড় শুরু করে ৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ৫০ কিলোমিটার রান করে প্রসার নিয়ে প্রথম হয়েছি। সুস্থ থাকার জন্য দৌড়াই, দৌড়ানোর কারনে এখন অনেক সুস্থ আছি। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন স্থানে অংশ গ্রহণ করে আসছি। গ্রামীণ পরিবেশে ম্যারাথনে খুবই ভালো লাগছে।
একটিভ রানার্সের এডমিন সবুজ সিকদার বলেন, নিজে সুস্থ থাকতে রান করার বিকল্প নেই। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এবং শরীরকে ভালো রাখতে যুবকদের রান করার জন্য উদ্ভোদ্ব করতেই রায়পুরাতে এ ম্যারাথনের আয়োজন। সামনেও তারচেয়ে বড় আয়োজন করতে চাই।
প্রতিযোগিতায় অংগ্রহনকারী টাঙ্গাইল থেকে আসা আমিনুল, নয়ন মিয়াসহ অনেকে জানান, হার কিংবা জিত নয়, শরীর ও মন ভাল রাখার জন্য প্রতিযোগিতায় এই দৌড়ে অংশগ্রহণই লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন: