প্রকাশিত:
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৭
অবশেষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ফিরছেন! চোটের কারণে ফর্মের চূড়ায় থাকতে মিস করেছেন এশিয়া কাপ ও ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ মিস করার দুঃখ হয়তো সহজেই ভোলা সম্ভব নয় হাসারাঙ্গার। তবে যেভাবে আবার ক্রিকেটে ফিরছেন, তাতে আক্ষেপ কিছুটা হলেও কমতে পারে। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবেই ফিরছেন এই স্পিনার।
জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নতুন ভূমিকায় মাঠে নামবেন হাসারাঙ্গা। অন্যদিকে বিশ্বকাপে দাসুন শানাকার চোটে আপত্কালীন দায়িত্ব পাওয়া কুশল মেন্ডিসই শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছেন। দুই সংস্করণেই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন চারিত আসালাঙ্কা। অধিনায়কত্ব না থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রাথমিক দলে আছেন শানাকা।
এই ডিসেম্বরেই জাতীয় দলের জন্য নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। সাবেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গাকে চেয়ারম্যান করে গঠিত এ কমিটিতে আছেন চারজন—অজন্তা মেন্ডিস, ইন্ডিকা ডি সরম, থারাঙ্গা পারানাভিতানা ও দিলরুয়ান পেরেরা। এ ছাড়া এক বছরের চুক্তিতে ক্রিকেট পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। নতুন এই নিয়োগের পর এটাই শ্রীলঙ্কার প্রথম সিরিজ।
ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৬৯টি ওয়ানডে খেলা শানাকা। যেখানে লঙ্কানদের জয় ২৩ ম্যাচে। এই ২৩ ম্যাচে শানাকার ব্যাটিং গড় ১২.০৫। আর বল হাতে নিয়েছেন মাত্র ১২ উইকেট। আর সব মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে শানাকার ব্যাটিং গড় ২০.৩৯। মোট রান ৬৭৩। বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।
আর অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়া বাকি ২৮ ম্যাচে শানাকার গড় ২৬.৫৬, উইকেট ১০টি। বোঝাই যাচ্ছে, কেন অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শানাকাকে। টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে শানাকার অধীনে শ্রীলঙ্কার জয় ২২ ম্যাচে।
হাসারাঙ্গা চোটে পড়েন চলতি বছরের আগস্টে, সর্বশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে(এলপিএল)। সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হাসারাঙ্গা টুর্নামেন্টের প্লে-অফ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন। যে কারণে খেলতে পারেননি এশিয়া কাপেও।
এরপর বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা থাকলেও ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যে আবার চোটে পড়েন। যে কারণে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাঁকে বিশ্বকাপে পায়নি শ্রীলঙ্কা, যা শ্রীলঙ্কার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে।
হাসারাঙ্গা ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। এই সংস্করণে ৫৮ ম্যাচে ৯১ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই ভয়ংকর। সেই তুলনায় ওয়ানডেতে ছিলেন ম্লান। এই ধারণাটা মুছে ফেলার জন্যই ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে পারফর্ম করার প্রয়োজন ছিল তাঁর। সেই পথেই এগোচ্ছিলেনও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত চোটের কারণে সেটা আর হয়নি।
মন্তব্য করুন: