লক্ষ্মীপুরে বোমা ফাটিয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা মাদরাসাছাত্র সাইফুল ইসলামকে (১৭) উদ্ধার করা হয়েছে। এতে জড়িত অভিযোগে শাহাদাত হোসেন ও মো. সাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে অপহরণের ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় ছাত্রের মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটক দুইজনসহ অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার সাইফুল সদর উপজেলার রমারখিল দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র এবং বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের বাড়ি থেকে সাইফুলকে তুলে নেওয়া হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ভোরে পাশ্ববর্তী বশিকপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শাহাদাত সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং সাগর একই উপজেলার মিরিকপুর এলাকার মো. লিটনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সাইফুলরা নানার বাড়ি দত্তপাড়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে বাস করেন। ঘটনার সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে ১৮-২০ জন ওই বাড়িতে আসে। সবাই মুখোশ পরা ছিল। তাদের মধ্যে একজনের হাতে বন্দুক ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই অন্যরা বোমা ফাটিয়ে সাইফুলদের টিনসেট ঘর ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে। বাঁচাতে এলে তার মা রোজিনা ও বোন ফারজানা আক্তারকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে সাইফুলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করে।
সাইফুলের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল বালাইশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমান নিয়েছিল। ওই লোক ৫ মাসের মাথায় ওমান থেকে চলে আসে। এরপর তিনি ওই টাকা ফেরত চায়। তিনি কিছুদিন পরপর টাকার জন্য বিভিন্ন কথা শুনাতো। ওই ব্যক্তিই পরিকল্পিতভাবে হামলা ও অপহরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: