প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২৩, ২২:২৭
অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ার জেরে পটুয়াখালীতে মো. জাহাঙ্গীর ফকির (৩৮) নামে এক যুবকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। আগুনে ঝলসে যাওয়া ওই যুবক বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওখানকার চিকিৎসক বলেছেন-আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়েগেছে। বিকল্প পদ্ধতিতে তাকে খাবার দিয়ে আইসিউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার চার দিনের মাথায় ৬ জুন পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন ভিকটিমের ভাই জামাল ফকির। জাহাঙ্গীর ফকির র্দীঘদিন পটুয়াখালী পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিজ রোডস্থ সিকদার রেষ্ট হাউজে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। জাহাঙ্গীরের বাড়ী দুমকী উপজেলার চরগরবদিতে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র ও মামলায় বাদী বলেন-স্থানীয় শাহিন গাজীর ছেলে ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব গাজী (২২) সিকদার রেষ্ট হাউজের কক্ষে ঢুকে মাদক সেবনসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। যে কারণে প্রায় সাকিবকে রেষ্ট হাউজ কক্ষের চাবি দিতে হতো। ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে সাকিব কক্ষের চাবি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান জাহাঙ্গীর। এতে সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীরকে হুমকী-ধামকী দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সাকিবের বাসায় গিয়ে তার বাবা শাহিন গাজীকে জানান জাহাঙ্গীর। কিন্তু বাবা শাহিন গাজী ছেলেকে শাসন-বারন না করে উল্টো আস্কারা দেন বলে অভিযোগ বাদীর।
এরপর গত ২ জুন বিকালে সাকিব তার সঙ্গিদের নিয়ে সিকদার রেষ্ট হাউজের তৃতীয় তলায় উঠে অফিস কক্ষে অবস্থান করে পূর্বের মত কক্ষে যেতে ইচ্ছে প্রকাশ করে চাবি চান। এ সময় চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাকিবের সঙ্গে থাকা পেট্রোল জাহাঙ্গীরের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জাহাঙ্গীরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাহাঙ্গীরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরামর্শ দেন। জাহাঙ্গীরের ভাই মামলার বাদী জামাল ডাক্তারের বরাত দিয়ে বলেন-তার ভাইয়ের ৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাকে আইসিউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এঘটনায় পরে মঙ্গলবার (৬ জুন) ভিকটিমের ভাই জামাল ফকির বাদী হয়ে সকিব গাজী ও তার বাবা শাহিন গাজীকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন-এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন: