সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

উপেক্ষিত শীতার্ত মানুষ

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় সর্বত্রে নির্বাচনী উত্তাপ

রবিউল আলম.ইবি

প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:৪২

“অমুক ভাই যোগ্য লোক, জয়ের মালা তারই হোক” চারিদিকে চলছে উৎসবমুখর আমেজে নির্বাচনী প্রচারণা। চলছে জনসভা, মিটিং ও মিছিল। দৃষ্টিগোচর পোস্টার ব্যানার, মাইকিং, মিছিল মিটিং, করমর্দন, জনসংযোগ আর কত কী! প্রত্যেকটা জেলার আনাচে-কানাচে চলছে প্রার্থী আর তাঁদের সমর্থকদের দৌড়ঝাঁপ। মাত্র দু'দিন সময় হাতে। ঘরে ঘরে গিয়ে নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ। কিন্তু বিতরণ হচ্ছে না চাল, ডাল কিংবা শীতবস্ত্র। একদিকে নির্বাচনী উত্তাপ, অন্যদিকে শীতার্ত মানুষের আহাজারি। ব্যক্ত করারও সুযোগ হয়ে ওঠছে না নির্বাচনী আমেজের ভিড়ে।
 
সীমান্তবর্তী জেলা, উত্তরবঙ্গে কিংবা পুরো দেশব্যাপী প্রতি বছর ন্যায় শীতের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি লক্ষণীয়। বিশেষ করে উত্তরের জেলাতে অভাব-অনটন একটু বেশি। তার উপর গত এক সাপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু শৈত্য হিম প্রবাহ। হতদরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। পক্ষান্তরে নির্বাচনের এই ডামাডোলে পড়ে হতদরিদ্র ছিন্নমূল খেটে খাওয়া শীতার্ত মানুষের খোঁজ কেউ রাখছেন না। প্রতিটা বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের কলমে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশার চিত্র তোলে ধরলেন 'নাগরিক সংবাদ'। 
 
 
 
উত্তরবঙ্গের অন্যতম জেলা রংপুর। বিগত বছরের মত এবারও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে শীতের দাপট। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে হালকা শৈত্য প্রবাহ। ১, ২ ও ৩ জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা ছিল ১২° সেলসিয়াস। এই শীতের তীব্রতা এখনো বিদ্যমান। যার ফলে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনমজুর ও ভূমিহীন মানুষ পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে দিন পার করছে। সামনে শীত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সবমিলিয়ে এ বছর অন্যান্য বছরের মতোই শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেলেও দেখা যায়নি পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। প্রশাসন থেকেও শীত বস্ত্র বিতরণে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখনো। বিভিন্ন স্থানে কিছু বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রাখলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
আবদুল্লাহ আল মোনায়েন
রংপুর জেলা
 
 
 
কথায় আছে-মাঘের শীতে বাঘ কান্দে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের (লালমনিরহাট) মানুষ যেন পৌষের শীতেই কাঁদা শুরু করেছে। ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩, বিকেল ৪টা নাগাত হিমালয়ের হিমেল হাওয়া যেন শীতকে উঁকি দিয়ে ডাকছে। রাত হতে না হতেই আকাশভরা কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। পরের দুদিন এক ঘন্টাও দেখা মিলেনি সূর্যের আলো। বয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কুয়াশাচ্ছন্ন চারদিক। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া মানুষ সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। দরিদ্র মানুষরা শীতে কাঁপতে কাঁপতে আগুন পোহাতে ব্যস্ত। নেই কোনো গরমের পোশাক। হাটবাজার, রাস্তাঘাট সবিকছুই মানব শূন্য । শীত গ্রাস করে নিয়েছে এই স্থানগুলো। শীতের কারণে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া রোগ। প্রশাসন বা সরকারী মহলের এদিকে কোনো নজর  নেই বললেও চলে। রাজনৈতিক মহল এখন নির্বাচন ও মাঠে মাঠে ভোট চাওয়ায় ব্যস্ত।
মোসাদ্দেক হোসেন
লালমনিরহাট জেলা
 
 
 
আমাদের দেশে সাধারণত সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে ।দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে শীত তুলনামূলক একটু বেশি। শীত উপেক্ষা করে বছরের শুরুতে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রার্থীরা। রাত হলে শুরু পথসভা, আলোচনা সভা কত কী! পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। প্রচারণায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করলেও সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে তেমন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জনজীবন স্থবির আবহাওয়া এবং শীতল পরিবেশে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ। অন্যদিকে নির্বাচনী আমেজে মুখে হাসি নাই শীতার্ত মানুষের। এক টুকরো শীতবস্ত্রের প্রতীক্ষণে জনজীবন।
আহসান হাবিব 
নীলফামারী জেলা
 
 
 
 
পার্বত্য চট্টগ্রামে কঠোর ও নিষ্ঠুরতম আকার ধারণ করে উঁকি দিচ্ছে হিম প্রবাহ। উপেক্ষিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য শীত পরম কষ্টদায়ক। তারপরেও এর বিপরীতে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য শীত আনন্দদায়ক। আমাদের বান্দরবানও এর ব্যতিক্রম নই। বরং এখানে বেশি সংখ্যার পরিমাণে দারিদ্র্যতায় অবস্থান থাকার কারণে তাদের বেঁচে থাকা প্রতিকূল হয়ে উঠে। গত সাপ্তাহে বান্দরবানে গড়ে শীতের পরিমাণ ২০° এর কাছাকাছি চলছে।বর্তমানে দক্ষিণা বাতাসের কারণে শীত একটু কম অনুভূত হচ্ছে। তবে শীতের পরিমাণ যে বাড়বে তা নিঃসন্দেহ। 
প্রশাসন এর পিছনে কাজ করলেও তা সর্বোচ্চ সর্বত্রে পৌঁছেনি। আর পরিমাণের দিক দিয়ে তা যথেষ্ট নয়। তাদের কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে যেমন : শীতের কাপড় বিতরণ, কম্বল বিতরণ ইত্যাদি। হুলস্থুল  নির্বাচন প্রচারণা চলছে। এমন দুর্গম এলাকায় প্রচারণার সময় একটা কম্বল সাথে নিয়ে আসা যায় না? 
নো মং সিং
বান্দরবান জেলা
 
 
 
হিমালয়ের হিমবাহে ঢালুকৃত সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় শিক্ষানগরী রাজশাহীতে হাড় কাপানো শীতের আনাগোনা বেশ লক্ষণীয়। গত এক সাপ্তাহ ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা দিন দিন নিম্ন হচ্ছে। জনজীবন স্থবির। এক দিকে আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজশাহীর ছয়টি আসনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রচারণা জোরদার করছে, শীতের সকাল থেকে নেমে পড়ছেন গ্রাম, পাড়া, মহলা ও ইউনিয়নে। প্রচারণার সঙ্গে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। অপরদিকে শীত বস্ত্রহীন নিঃস্ব মানুষেরা ব্যস্ত জীবন যুদ্ধ নিয়ে। শীতের সাথে আপোষ করতে না পেরে ঢলে পড়ছে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তবে কি তাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই? উচ্চ শ্রেণির লোকেরা চাইলেই পারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, যেন তারা স্বস্তির নিঃস্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে।
মোসাঃ সাদিয়া আফরিন মৌ 
রাজশাহী জেলা
 
 
 
হটাৎ করেই কুয়াশার পাশাপাশি শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে দেশের উত্তরাংশে অবস্থিত ময়মনসিংহে জনজীবনে দুর্ভোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের ছিন্নমূল মানুষের একটা বিরাট অংশের শীত নিবারণের একমাত্র সম্বল হয়ে থাকে দাতব্য সংস্থা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে পাওয়া শীতবস্ত্র। কিন্তু এবারের শীতের মৌসুমে নির্বাচনী ব্যস্ততা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে বিভিন্ন সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণে তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।  ফলে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
আবু নাঈম 
ময়মনসিংহ জেলা 
 
 
 
গত তিন দিন ধরেই টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা ১৫-১৮ তে ওঠানামা করতেছে, মানে প্রচন্ড শীত। অন্যদিকে তীব্র হাড় কাপানো শীতের মাঝেও যেন উত্তপ্ত আসন্ন ৭ জানুয়ারি ২০২৪, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীদের মাঝে চলছে শেষ সময়ের তীব্র নির্বাচনী প্রচারণার ব্যস্ততা। যেমনি প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা চেষ্টা করছে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য, ঠিক তেমনি এক শ্রেণির মানুষ জীবন বাচিয়ে রাখার তাগিদে সংগ্রাম করছে শীতের সাথে, যাদেরকে দেখা যায় বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা রেলস্টেশনে শীতবস্ত্রহীন অবস্থায়। বর্তমানে যাদের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার মতো লোক বিরল। যা কাম্য নয়। তাই দলমত নির্বিশেষে সবারই উচিৎ ঐ সমস্ত লোকদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে তাদের দুঃখ লাঘব করা।
মো: জায়েদ তালুকদার 
টাঙ্গাইল জেলা 
 
 
 
পৌষ মাসের ঠান্ডা হাওয়ায় কুঁকড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারাদেশের মতো মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী ময়দানও ঝাঁপিয়ে উঠেছে উত্তাপে। প্রার্থীদের তুমুল হাঁকডাকে আর কোন্দলে কেঁপে উঠছে ভোটের মাঠ। কিন্তু এই রাজনৈতিক তাপের আবছায়ায় নিঃশব্দে কাঁপছে মানুষ, কাঁপছে জনজীবন। গত ১-৩ জানুয়ারীতে মাদারীপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫°সেলসিয়াস। টিভি পর্দা, পথের কোণা থেকে চায়ের দোকানে- সর্বত্রই শুধু বাকযুদ্ধ আর জয়ের সংগ্রাম। কেউ যেন দেখছেন না একটু দূরে, যেখানে কুঁজো গুটিয়ে শীতের অত্যাচার সহ্য করছেন গৃহহীন,শীতের বস্ত্রহীন মানুষেরা। যাদের কাছে নির্বাচনের চেয়ে জরুরি একমাত্র চাহিদা একটু উষ্ণতার হাতের নিশ্চয়তা। প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসছে রাস্তাঘাট। কিন্তু এই বন্যার ঢেউ কখনো পৌঁছায় না সেখানে, যেখানে হাজারো পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে আছে এদিক-সেদিক, যাদের শরীরটুকু ঢেকে রাখার মতো কাপড়ও নেই। নির্বাচনী পোস্টারের রঙচঙে চেহারার পেছনে লুকিয়ে যাচ্ছে এই ঠান্ডা মানুষগুলো, যাদের কষ্টের আওয়াজ ডুবে যাচ্ছে প্রার্থীদের মাইক্রোফোনের চিৎকারে। এই নির্বাচন-ই হোক মানুষের জন্য, মানুষের কষ্ট লাঘবের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। তবেই নির্বাচনী তাপ হবে সার্থক, ঠান্ডা মানুষগুলো পাবে আশ্রয়ের আলো।
তানভীর হাসান রবিন
মাদারীপুর (বরিশাল) জেলা
 
 
 
নলেন গুড়ের গন্ধ ভাসে বাতাসে; পৌষ পার্বণে পিঠে পায়েসের সাড়া পড়ে ; প্রকৃতি জানান দেয় শীত পড়েছে এবারে সিলেটে। প্রত্যেক বছর শীত কম থাকলেও ২০২৪ এর শীতটা একটু বেশি।হাড়কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দু'তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। "সিলেটর শীতে বঙ্গ প্রকৃতি সর্ব রিক্তা। পত্রহীন গাছগাছালিতে, শূন্য শস্যপ্রান্তরে কেমন একটা নিঃস্বতার নীরব হাহাকার। বাতাসে নেই পুষ্প সৌরভ, প্রকৃতিতে নেই প্রাণচাঞ্চল্য ; দুরন্ত শীতের আক্রমণে প্রাণী সমাজটাই বিবরবাসী। কনকনে শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষতীব্র শীতের কারণে সকালে কাজে যেতে পারছেন না চা-বাগানের শ্রমিকদল। এবার শীত এত বেশি যে এই পাতলা কম্বল দিয়ে আটকানো যাচ্ছে না। আবার লজ্জায় কারও কাছে চাইতেও পারছি না। তাদের দেখার কেউ নেই কারন সবাই তো ক্ষমতা সুনামের জন্য নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত। শীতের দিনের উষ্ণতার সন্ধানে গৃহস্থলিতে দেখা যায় গরম বস্ত্রের আধিক্য, দরিদ্র সমাজের ভরসা কেবল অগ্নি স্থলই। নিষ্ঠুর প্রকৃতি নয়; সমাজ ই নির্মম।
শারমিন আক্তার 
সিলেট জেলা
 
 
 
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের কোল ঘেঁষে পচন্ড ঠান্ডার মধ্যেই এই এলাকার মানুষের বসবাস। গত সোমবার ১১.৬ ডিগ্রি এবং মঙ্গলবার ১০.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে থাকলেও বুধবার হটাৎ করে তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রিতে নেমে আসে। গত তিন দিনের রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এই প্রান্তিক অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সাথে গরিব, অসহায় শিশু, বয়স্ক মানুষের জন্য শীত বস্ত্রের অভাবে দিন কাটাচ্ছেন। এতে করে সর্দি, কাশি, জ্বর সহ নানান রকমের রোগাক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমনকি গবাদি পশু নিয়েও সংকায় দিন কাটাচ্ছেন খামারিরা। নির্বাচনী ব্যস্ততায় চাপা পড়ে আছে শীতার্ত মানুষ। তাই এই কষ্টের লাঘব করার জন্য দলমত নির্বিশেষে গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকা উচিত।
জুবায়ের হাসান মিম
পঞ্চগড় জেলা
 
 
 
 
 
 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর