প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:৪১
তুলনামূলক কম ভোটারের উপস্থিতি, কয়েকটি আসনে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটাদাগে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বিএনপির বর্জন আর হরতালের মধ্যে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ চলে।
এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রের ভেতরে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন, তাদের ভোট নিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার।
ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয়ে যায় ভোট গণনা। এরপর একীভূত ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো চূড়ান্ত ফলাফল নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা করা হবে।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।”
ভোট শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, বিভিন্ন আসন থেকে যে তথ্য তারা পেয়েছেন, তাতে ভোটের হার ৪০ শতাংশের মত হতে পারে। পরিপূর্ণ তথ্য আসার পর এটা বাড়তেও পারে, নাও পারে।
এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৮.৫% এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫% ভোট পড়ার হিসাব নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল।
ভোটের সকালে মুন্সীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে।
সারা দেশে ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে সাতটি কেন্দ্রের ভোট। ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, জাল ভোট পড়ায় এবং ভাঙচুর হওয়ায় এসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়েছে।
বিকালে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ছোটখাটো ৩০-৩৫টি জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আমাদের পুলিশ অফিসারের গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল ফোটানো হয়েছে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।"
জাল ভোট দেওয়ায় বা সে কাজে সহায়তা করায় এদিন ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারও আছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। পরে ওই বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্র দুটির ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়।
নরসিংদী-৪ আসনের একটি কেন্দ্রে জোর করে ঢুকে ব্যালটের ১২টি বইয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্রের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে; তাতে দুজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নৌকার কর্মীদের ধাওয়ার মুখে পড়েন।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত দুইজন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক হয়।
ময়মনসিংহে একটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারা’ এবং নৌকার পক্ষে’ কাজ করায় অভিযোগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
কুমিল্লা-৭ আসনের চান্দিনা উপজেলায় তিনটি ভোটকেন্দ্রে আগে থেকে নৌকায় সিল মারা ব্যালট জব্দ করা হয়; পরে সেগুলো বাতিল করা হয়।
যশোরের একটি ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার সদস্য আহত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের রায়গঞ্জ উপজেলায় অন্যদের ভোট দিতে আসা দুজনকে আটকের পর ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৫৫টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন যশোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন।
মেহেরপুরে কেন্দ্রে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভোট শুরুর আগে এবং ভোট চলার সময় রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রের বাইরে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুসহ চারজন।
অন্তত দুই ডজন আসনে বিরোধী দল লাঙ্গলের প্রর্থীরা ভোট প্রত্যাখ্যা করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রাখার বিষয়ে বারবার জোর দিলেও ভোটের সকালে তেমনটি দেখেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে (সব প্রার্থীর) পোলিং এজেন্ট নেই। আসলে মনে হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ প্রার্থী যারা, অনেকেরই বোধ হয় সে সামর্থ্য (পোলিং এজেন্ট দেওয়ার) নেই, যা আমি এক্সপেক্ট করেছিলাম।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বলেন, æআজকে নির্বাচনটা যে আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, সে জন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক বাধা ছিল, অনেক বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ভোটের প্রতি যে সচেতন হয়েছে…। নির্বাচনটা যে জরুরি, কারণ পাঁচ বছর পর আরেকটা নতুন সরকার আসবে। জনগণ তার ইচ্ছামত ভোট দেবে, সেই ভোট দেবার পরিবেশটা আমরা তৈরি করেছি।”
নোয়াখালীতে নিজ আসনে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। যারা নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে তারা পরাজিত হয়েছে। নির্বাচনের যে পরিবেশ আর ভোটারদের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাতে মনে হচ্ছে, যারা বর্জন করতে আহ্বান করেছিল, ভোটাররা তাদেরই বর্জন করেছে।”
তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। রংপুরের তোজাম্মেল হোসেন মেমোরিয়াল শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু খবর পেলাম, রংপুরের পরিস্থিতি ভালো, উপস্থিতিটাও স্বাভাবিক। তবে অন্যান্য জায়গা থেকে যেসব খবর পাচ্ছি সেগুলো স্বস্তিদায়ক নয়। আবার অনেক জায়গা থেকে পিসফুল খবরও পাচ্ছি।”
আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে কুরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি না সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত, বলেন তিনি।
বর্জন, অবরোধ ও হরতালের মধ্যে এবারের নির্বাচন হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতেও তৎপরতা ছিল।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, æযে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশা ছিল, তারচেয়ে কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এরপরও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান হলে আরও ভালো হত।”
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর আট লাখের বেশি সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এরপরও কিছু জায়গায় গোলযোগ, সংঘর্ষের খবর এসেছে। মুন্সীগঞ্জে একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
একটু ভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচনটা হল। অতীতের অন্য নির্বাচনগুলোর চেয়ে এবার জাতীয় নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নজরও বেশি ছিল, বলেন তিনি।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, æআমরা নির্বাচন পযবেক্ষণ করে যা দেখেছি, ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। বর্জন, হরতাল, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নানা বাধার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আমরা পরে দেব।”
ভোটতথ্য
জাতীয় সংসদে আসন সংখ্যা ৩০০ হলেও রোববার ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। সেই ভোটের সময় পরে জানানো হবে।
ভোটার: ২৯৯ আসনে ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন। তাদের ৬,০৫,৯২,১৯৭ জন পুরুষ; ৫,৮৭,৩৯,৮৮৯ জন নারী এবং ৮৪৮ জন হিজড়া।
ভোটের সময়: ভোট চলে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ: ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি ভোটকক্ষে নেওয়া হয় ভোট।
কীভাবে ভোট: ২৯৯টি আসনের সবগুলোতেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে।
ফল ঘোষণা: কেন্দ্রে কেন্দ্রে গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসাররা লিখিত ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ঢাকায় নির্বাচন ভবন থেকে ঘোষণা হবে আনুষ্ঠানিক ফল।
প্রতিদ্বন্দ্বী:২৯৯ আসনে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন ১৯৬৯ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩২ জন দেশের ২৮টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী; বাকি ৪৩৭ জন স্বতন্ত্র। প্রার্থীর মৃত্যুতে পিছিয়ে যাওয়া নওগাঁ-২ আসনে প্রার্থী আছেন আরো দুজন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড ৯৭ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
# ২৯৯ আসনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬৫ জন (নৌকা ২৭১)। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ২৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
# ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের শরিক ওয়র্কার্স পার্টি, জাসদ, জেপির ছয় জন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার জেলা এবং ৫৯০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা পর্যায়ে সার্বিক তত্ত্বাবাধনের দায়িত্ব পালন করছেন। ৪২ হাজার ২৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন কেন্দ্রের দায়িত্বে। তাদের অধীনে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৫ লাখ ৪২ হাজার ২৫৬ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের মূল কাজটি করেন।
পর্যবেক্ষক: দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পর্যবেক্ষক এবার ভোটের মাঠে নজর রাখেন।
নিরাপত্তা: ভোটের মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
কম ভোটারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ’ ভোট
# সশস্ত্রবাহিনী প্রায় ৩৮ হাজার ১৫০ জন এবং নৌবাহিনী প্রায় দুই হাজার ৮০০ জন।
# প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার পুলিশ; প্রায় ৫ লাখ ১৪ হাজার আনসার ব্যাটালিয়ন।
# বিজিবি ১১৫১ প্লাটুন (প্রায় ৪৪ হাজার ৯ শ জন)
# র্যাবের ৬০০ টিম, রিজার্ভ ৯৫টিম।
# কোস্টগার্ড ৭০ প্লাটুন (প্রায় ২ হাজার ৩শ জন)।
# ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
# সারাদেশে তিন সহস্র জন নির্বাহী হাকিম এবং সহস্রাধিক বিচারিক হাকিম।
ব্যায়: নির্বাচন পরিচালনা ও আইন শৃঙ্খলা খাত মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় সোয়া দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালনা খাতে এক তৃতীয়াংশ এবং নিরাপত্তা খাতে দুই তৃতীয়াংশই ব্যয় হয়ে থাকে।
যান চলাচলে কড়াকড়ি: ভোটের আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত বাইক চলাচল নিষিদ্ধ। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত। শনি ও রোববার ৩২টি লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মন্তব্য করুন: