প্রকাশিত:
২১ জুন ২০২৩, ১৪:০৭
বয়স ৯০ পেরিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।
নির্ভর করতে হয় হুইলচেয়ারের ওপরে। এরপরও পছন্দের প্রার্থীকে ভোটটা দিতে এসেছেন হাসনা বানু।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ১১টায় নগরের মধু শহীদ কেন্দ্রে মেয়ে মেহেরুন নেসার হাত ধরে ভোট দিতে আসেন হাসনা বানু।
শেষ বয়সে এসে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে হাসনা বানু বলেন, জানি না কতোদিন বাঁচবো। তবে মেয়ের হাত ধরে মেশিনে ভোট দিতে পেরেছি।
একই কেন্দ্রে হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিতে আসেন পক্ষাগাতগ্রস্থ শরম চাঁন (৬৫)। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতেই মাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন বলে জানান ছেলে কাউসার।
সকাল সাড়ে ৯টায় একই নগরের সুবিধবাজার স্ট্রেচারে করে ভোট দিতে আসেন ওহিদা বেগম (৪৫)। ইভিএম পদ্ধতিতে খুব সহজে ভোট দিতে পেরে বেজায় খুশি তিনি।
পঞ্চমবারের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১৯০ কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল) ছাড়াও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরি। এছাড়া মেয়র পদে রয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ। আর ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সিসিকে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৪টি কক্ষে ভোট দেবেন ৪২টি ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার। এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১৯০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩৬৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ৭৩৪ জন পুলিং অফিসার। কেন্দ্রগুলোতে স্থাপিত ১ হাজার ৭৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
মন্তব্য করুন: