নরসিংদী-১ সদর আসনে নির্বাচনী পরবর্তী আনন্দ মিছিলের নামে কয়েকজন নৌকার সমর্থকদের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ৯ টি বাড়ী ঘরে হামলা, ভাঙচুর ককটেল বিষ্ফোরন ও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এ সরকারী কর্মকর্তা বজলুর রহমান ফাহিম (৪৫) তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত বজলুর রহমান ফাহিম (৪৫)। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের অধীনে খোদাদিলা গ্রামে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও তিনি আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি ও শহর আওয়ামীলীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সদস্য। মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ৪টায় সদর উপজেলার খোদাদিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, বিকেলে খোদাদিলা গ্রামের বাজার থেকে আনন্দ মিছিল বের করে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান আলীর বাড়ীতে ভাঙচুর করে। পরে আরও ৮ টি বাড়ীতে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রায় ৩০ টি ককটেল বিষ্ফোরন করে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফাতেমা (৬৫) বাঁধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদ উল্লাহ।
আলোকবালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক আহবায়ক মাইনউদ্দিন মিয়া বলেন, "বজজুর রহমান ফাহিমের নেতৃত্বে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন(২৭), সদস্য রবিউল মিয়া (২৯), কুয়েত প্রবাসী শিমুল (২৩) সহ ৪৫-৫০ জন আমাদের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ৯টি ঘরে রামদা দিয়ে কুপানোসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদেরকে মারধর করার জন্য খোঁজ করতে থাকে। এ সময় আমরা বাড়ীতে অবস্থান না করায় প্রাণে বেঁচে যায়। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত বিচার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, " এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেব, প্রস্তুতি চলছে।" অভিযুক্ত বজলুর রহমান ফাহিম বলেন, "আমার লোকজন নিয়ে আমি এলাকায় বিজয় মিছিল করেছি, এটা সত্যি কিন্তু হামলার কোনো ঘটনা নেই। মিছিল করার সময় ফেসবুক লাইভ চলছিল, আপনি চাইলে লাইভও দেখতে পারেন। কারা হামলা চালিয়েছে, আমি জানি না, আমার সমপৃক্তা নেই।"
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, "ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত অভিযোগ পায় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
মন্তব্য করুন: