বাংলার ষড়্ঋতুর রঙ্গমঞ্চে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান।হেমন্তের সোনালি ডানায় ভর দিয়ে, হিমেল হাওয়া কে সঙ্গী করে ও কুয়াশার চাদর আবৃত করে আগমন ঘটে শীতকালের। পৌষ ও মাঘেও সে তার হিমেল চাদর বিছিয়ে রাখে বাংলার বুকে।
সোনার বাংলার এই পাতাঝরার মরশুমে বৃক্ষরাজি তাদের শরীর থেকে সকল শুকনো পাতা ঝরিয়ে ফেলে নতুন রূপে সেজে ওঠার প্রস্তুতি নেয় । মৃদু রোদের তাপ ও শিশির ঝরা রাত নিয়ে শীত আসে উদাসী সন্ন্যাসীর বেশে।
তবে এই শীত দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষ ও পথো শিশুদের জন্য অনেক কষ্ট দায়ক হয়ে দাড়িয়েছে। পথো শিশুদের নেই শীতের জন্য পর্যাপ্ত কাপড় দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষের নেই পর্যাপ্ত কাজের ব্যবস্থা।সমাজের ধন্যাঢ্য মানুষগুলো এবং যাদের সামর্থ্য আছে আমরা যদি এই পথো শিশু ও দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং সকলের সাথে দুঃখ -আনন্দগুলো ভাগাভাগি করে নিয়ে শীতকে সমাদরে গ্রহণ করতে পারবো।
আবহাওয়া অফিস এর বিবৃতিতে জানা যায়, শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। শুক্রবার থেকে পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারীর ওপর দিয়ে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন এসব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘনকুয়াশা অব্যাহত থাকবে।
এই শৈত্যপ্রবাহ রাজশাহী বিভাগের কিছু অঞ্চলেও বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে তীব্র শীতে ও ঘুন কুয়াশায ওই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: