প্রকাশিত:
১২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:৫৪
খুলনা-৫ আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পেলেন ভূমি মন্ত্রণালয়। এর আগে এক দফায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৬৭ সালে। পরের বছরই আওয়ামী লীগের ডুমুরিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৮৪ সালে তিনি ডুমুরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।শে
সর্বশেষ ২০০৩ সালে গঠিত কমিটিতেও তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সদস্য এবং আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ছিলেন।
খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, তৎকাঈন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণ চন্দ্র। তার পিতার নাম কালীপদ চন্দ ও মাতার নাম রেণুকা বালা চন্দ। নারায়ন চন্দ্র উলাগ্রামের পাঠশালায় শিক্ষাজীবন শুরু করে বান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৬১ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক্যুলেশন পাস করেন। ১৯৬৩ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং পরের বছর একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। কর্মজীবনে এসে ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাস করেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০০৫ সালের ১১ মার্চ চাকরি থেকে অবসর নেন।
১৯৬৮ সালে নারায়ন চন্দ্র চন্দ মাধ্যমিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেন থানা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৭ সালে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন: