প্রকাশিত:
১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:২৩
কৃষির মান উন্নয়নের স্বার্থে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেত্রকোণার সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণাগার ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্ভোদন করেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ ধান গবেষণাগার ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্ভোদন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণাগার ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান ভাগ পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, নেত্রকোণা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান অভ্র, মৌগাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে পর্যাপ্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে স্মার্ট টেকনোলজি বাড়াতে হবে। এই গবেষণাগারে স্মার্ট টেকনোলজি আবিস্কার হবে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মি স্মার্ট টেকনোলজি আপনাদের কাছে পৌছে দিবে। পাশাপাশি কৃষকদের স্মার্ট হওয়ার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ হলে আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ ধান গবেষণাগার ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে
সক্ষম হবে বলে বক্তারা প্রত্যাশা করেন। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা খাদ্যে সয়ং সম্পন্ন হতে সক্ষম হবো।
২০৪১ সালে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ হলে অবশ্যই আমাদের আয় বাড়াতে হবে। আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ফসলের বৈচিত্র বাড়াতে হবে। শুধু ধান-চালের মধ্যে ফসলের সীমাবদ্ধ না থেকে যে জমি যে ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুগি সেখানে সেই ফসল ফলাতে হবে। যেহেতু এই গবেষণা ইনষ্টিটিউট এখানে স্থাপিত হচ্ছে, এটার সুফল, এটার ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। আশা করি ধান গবেষণাগারে যারা দ্বায়িত্বে আছে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আপনারা এটা একটা সফল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলবেন।
মন্তব্য করুন: