শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

বাড়ি ফেরা শুরু, টিকিট নেই ২৬-২৮ জুনের

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২৩, ১২:২৭

আগামী ২৯ জুন উদযাপিত হবে মুসলিম ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে সড়কপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীর বাসিন্দারা।

তবে মূল ঈদযাত্রা শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে। ইতোমধ্যে আগামী ২৬-২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পরিবহন কাউন্টারগুলো।
বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে অনেকেই বাড়ির পথ ধরেছেন। কাউন্টারগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। বেশির ভাগ বাসই প্রায় ভর্তি হয়ে টার্মিনাল ছাড়ছে। অনেক যাত্রী আবার ঈদের আগের অগ্রিম টিকিটের জন্য আসছেন। তবে আগামী ২৬ থেকে ২৮ জুনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় তাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি ২৭ থেকে ৩০ জুন। তবে টিকিট না পাওয়াসহ সড়ক পথে যানজটের ভোগান্তি এড়াতে কয়েক দিন সময় হাতে নিয়েই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। এসব যাত্রীদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ও গৃহিণী। অনেকে আবার কোরবানির গরু কেনার জন্য আগেভাগে ঢাকা ছাড়ছেন।

গাবতলী বাস টার্মিনালের সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আইনুল খান আসিফ বলেন, আগামীকাল থেকে অগ্রিম টিকিটের যাত্রীরা বাড়ি ফিরবেন। তবে আজ থেকেই অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কারণ ঈদের আগে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এরই মধ্যে আমাদের অগ্রিম টিকিট প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ২৬-২৮ জুনের কোনো সিট খালি নেই।

শ্যামলী কাউন্টারের মাস্টার মো. মনির হোসেন বলেন, ঈদের সময় টিকিট না পাওয়াসহ সড়কে দীর্ঘক্ষণ যানজট আটকে থাকতে হয়। তাই যারা চাকরিজীবী তারা তাদের পরিবারের লোকজনকে এখনই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নিজে ঈদের আগে যাবেন। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী আজ থেকে যাওয়া শুরু করেছেন। আজ যেসব গাড়ি যাচ্ছে, সেগুলো প্রায় ভরেই ঢাকা ছাড়ছে।

গ্রামীণ ট্র্যাভেলসের কাউন্টার মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যাদের কাজ নেই, তারা আগে ভাগেই চলে যাচ্ছে। তবে কর্মজীবীরা যাবে ২৫ তারিখের পর। তখন শুধু অগ্রিম টিকিটের যাত্রীরাই যাবে। সাধারণ যাত্রীরা সিট পাবে না। আজকে থেকে অনেকে যাওয়া শুরু করলেও, মূল চাপটা শুরু হবে আগামীকাল থেকে।

আগামী ২৬-২৮ জুনের কোনো সিট খালি নেই জানিয়ে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার নোমান সরদার বলেন, মূল ঈদযাত্রা আগামীকাল থেকে শুরু হলেও আজ থেকেই মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেছে।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবাল হাসান টুকু। তিনি বলেন, ঢাকায় জাহাঙ্গীরনগরে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। আমার ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঈদের আগে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

স্ত্রীকে নাটোরের বাসে তুলে দিতে গাবতলী টার্মিনালে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার ছুটি শুরু হবে ২৭ তারিখ থেকে। সে সময় রাস্তায় যানজট হয়। তাই স্ত্রীকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি ঈদের একদিন আগে যাবো।

এবারের ঈদযাত্রার বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের অফিস কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মূলত আগামীকাল থেকে ঈদের যাত্রীরা যাওয়া শুরু করবে। তবে আজ থেকেই টুকটাক যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে ভিড় হবে ২৬-২৮ তারিখে। এমনকি এই তিনদিনের টিকিটও নেই কোথাও। এখন যারা যাচ্ছে, তারা আসলে পরিবারের লোকজন।

গাবতলী টার্মিনালের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের টার্মিনালে একটি প্রচার কেন্দ্র আছে। আগামীকাল থেকে সেখানে জনসচেতনতামূলক মাইকিং শুরু হবে। যাতে কেউ অপরিচিত মানুষের দেওয়া কিছু না খায়, সুগন্ধি না নেয়, কালোবাজারি থেকে টিকিট না নেয়, মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখে এবং চালকরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালায়। এছাড়া টার্মিনালে আমাদের ২০টি টিম মনিটরিং করবে। তারা সার্বক্ষণিক টার্মিনালে পদচারণা করবে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে সেটি সমাধান করবে। কাউন্টার ম্যানেজারদেরও বলা হয়েছে, তারা যেন কাউন্টারের সামনে তাদের ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে দেয়। র‌্যাব-পুলিশেরও ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা আগামীকাল থেকে টার্মিনালে অবস্থান করবে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেটি দেখবে।

বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে ১০ টাকাও বেশি রাখার সুযোগ নেই। আমাদের সদস্যভুক্ত যেসব বাস আছে, তারা কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেবে না। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের সময় খালি গাড়ি আসে। এরা আমাদের সদস্যভুক্ত নয়। এরা যখন দেখে যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম, তখন তারা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তো নেবে। আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হবে না। কারণ তারা আমাদের সদস্যভুক্ত নয়।

এবার সড়কে ভোগান্তি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কগুলোতে এমনিতেই দোকানপাট বসে। এবার তো কোরবানির ঈদের হাট বসবে। সে ক্ষেত্রে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর