প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:০০
প্রয়োজন সাপেক্ষে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নে পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, এটি স্থায়ী কোনো বিষয় নয়।
যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজনে অবশ্যই সেখানে আসবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নওফেল এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কারিকুলাম নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে, কারিকুলাম তো হঠাৎ করে আসেনি। সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সে আলোচনা-সমালোচনাগুলো মাথায় রেখেই দুর্বলতা থাকলে, সেখানে সমস্যা থাকলে...মূল্যায়নের জায়গায় একটা আলোচনা আছে, মূল্যায়নটা যাতে এমন না হয়, যাতে সেটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে পরিণত হয়। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।
মূল্যায়নে কী তাহলে পরিবর্তন আনছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখা যাবে যে পদ্ধতি আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষাবিদরা, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করেছেন সেটার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা এখন দেখতে পাবো। দেখতে পেলে আমরা আগেও বলেছি, যে এটি স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। এটা যে আমাদের রিজেক্টলি মেনটেইন করতে হবে তা কিন্তু নয়। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজনে অবশ্যই আসবে। এর আগেও বলা হয়েছে, এখনও আমি বলছি। পরিবর্তন প্রয়োজন সাপেক্ষে অবশ্যই আসবে।
শিক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নওফেল বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা দেখেছি পাঁচটি বছর সফলভাবে সদ্য সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তিনি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তার সঙ্গে আমরা সবাই এ শিক্ষা পরিবারে কাজ করেছি। শিক্ষায় নানা ধরনের রূপান্তরের কাজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সূচনা করেছি। এ সূচনার কাজগুলোর পেছনে কিন্তু আমাদের আগে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, তিনি সেই ভীতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। সুতরাং এখানে নতুন করে, হঠাৎ করে কোনো কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম। তাই সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের বলে দিয়েছেন বিশাল জনগোষ্ঠী, বিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ করতে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রায় এক কোটির ঊর্ধ্বে। বিশাল জনগোষ্ঠী যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, এ যে বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব জায়গাতেই তাদের কর্ম সংশ্লিষ্ট যেসব দক্ষতা রয়েছে, সেগুলো যাতে ন্যূনতম সবাইকে দিতে পারি। কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলোর বিষয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবারে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন করতে হলে কর্মসংস্থান করতেই হবে এবং কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্ক্রিল স্মার্ট সিটিজেন আমাদের খুব প্রয়োজন। আর এর ঊর্ধ্বের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে বলা হয়।
মন্তব্য করুন: