প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:০৩
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেছেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। যদিও এটি জাতীয় ইস্যু। এটি রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত মনে করি। আমি ১৫ বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু একটি লোকও বলতে পারবেন না কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটা জাতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। এখানে হাত দেওয়া কঠিন। এটা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতি নিরসনে সংগ্রাম চলছে, যুদ্ধ চলছে, জিহাদ চলছে। এই যুদ্ধকে এগিয়ে নেব। দুর্নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই।’
নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিন নিজ দপ্তরে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ ব্রিফিং হয়। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টা দিকে দপ্তরে এসেই প্রথমে মন্ত্রী এনইসি সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি নেই এ কথা বলব না। হুট করে এটি ঠিক করাও যাবে না। দেখা যায় প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়। এমন হলে বাচ্চারা কী শিখবে? প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বাচ্চাদের দুর্নীতিমুক্ত থাকার শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিক থাকবে। আমি আমার এলাকায় নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে কেউ নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করতে না পারে।’
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রকল্পগুলোর দিকে নজর দিতে চান উল্লেখ করে আবদুস সালাম বলেন, ‘সেই সঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর থাকবে। গ্রামের রাস্তাঘাট যদি ঠিক থাকে, মানুষ যদি সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারে তাহলেই উন্নয়ন টেকসই হবে। আমি যে এলাকায় নির্বাচিত হয়েছি আমার উপজেলায় পায়ে হেঁটে বেরিয়েছি। আমি মনে করি, দেশের অন্যান্য উপজেলারও একই চিত্র। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব থাকবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা অভাব ও অভিযোগ আছে। সেগুলো কমানোর চেষ্টা থাকবে। গ্রামে যদি স্বাস্থ্যসেবা ভালো থাকে তাহলে মানুষ সেখানেই অন্তত কিছুটা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এলাকায় একটি ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি জানতে পেরে সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পাঠিয়েছি। যদি গ্রামেই সেই স্বাস্থ্যসেবা ভালো থাকত তাহলে অন্তত সেখানেই কিছু সেবা পেত। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। সেসব এগিয়ে নিতে আমি কাজ করব।’
মন্তব্য করুন: