--১৬ বছর হলো, মাত্র যৌবনে পা রাখলাম। যেখানে বিয়ের হওয়ার কথা আমার।
--সেখানে ৩৭ বছরে আমার বাবা আজকে নতুন একটি মহিলাকে বিয়ে করে নিয়ে আসলো।
--বাবা এই বয়সে তুমি আবার বিয়ে করলে। সবে মাত্র মা মার গিয়েছে। (তিসা)
--তোর মা মারা গিয়েছে বলে কি আমি বিয়ে করতে পারবো না।
তিসা : অবশ্যই পারবে কিন্তু মায়ের মৃত্যুর এখন পযর্ন্ত ১০ দিনেই হলোনা।
--বেশি কথা বলবিনা। তোর নতুন মাকে রুমে নিয়ে যা? আমি বাজার থেকে আসতেছি।
"তো তিসা বাদ্ধ হয়ে নতুন মাকে বলে উঠে"
তিসা : আপনি আমার সঙ্গে আসুন!
--এইই তিসা এটা কেমন ব্যবহার শুনি, নতুন মায়ের সঙ্গে কেউ আপনি করে কথা বলে?
তিসা : আসলে বাবা আমার অভ্যাস নেই তো তাই? পরবর্তীতে আর সমস্যা হবেনা।
"এর পরে তিসা নতুন মাকে নিয়ে রুমে আসে, তো রুমে আসা মাত্রই তিসার নতুন মা বলে উঠে "
--শোন আমার কথা মতো চলবি। না হলে তোর কপালে বিপদ আছে কিন্তু।
"নতুন মায়ের মুখে এই কথাটি শুনেই তিসা আশ্চর্য হয়"
তিসা : আশ্চর্য আপনি আমার সঙ্গে এইভাবে কথা বলতেছেন কেনো জানতে পারি।
--তো তোর সঙ্গে কেমন করে কথা বলবো শুনি।
তিসা : ভদ্র ভাবে কথা বলুন।
--চুপ কর! নাহলে এক থাপ্পড়ে দাত ফেলাই দিবো বেয়াদব মেয়ে কোথাকার।
তিসা : আমি কখন আপনার সঙ্গে বেয়াদবি করলাম? আপনি তো আমার সঙ্গে বেয়াদবি করলেন।
"তিসার মুখে কথাটি শেষ হতে না হতেই নতুন মা তার গালে কষে একটি থাপ্পড় দেয়"
--ঠাসসসস! ঠাসসস এইইই তোর সাহস কিভাবে হয় আমার মুখে মুখে তর্ক করার।
"থাপ্পর টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিসা উপলব্দি করে তার ঠোট থেকে রক্ত পরতেছে।
তিসা : আপনি আমার বাবার বিয়ে করা স্ত্রী না হলে এতক্ষনে পাল্টা জবাব দিতাম।
--তোর বাবা আগে আসুক বাজার থেকে।
তিসা : বাবা এসে কি করবে শুনি। আমার বাবা ভালো করেই জানে আমি কেমন।
--এই আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা। তোর ওই মুখ আমার সামনে আনবিনা।
তিসা : এটা আমার বাড়ি আমি থাকবো। আপনার সমস্যা হলে আপনি নিজেই চলে যেতে পারেন।
"এই ভেবে ঝগরা করতে করতে তিসার বাবা এক সময় বাজার থেকে বাসায় চলে আসে। এসেই দেখে বেশ ঝগরা লেগেছে "
--এইইই তোমাদের কি হলো শুনি। ঝগরা করছো কেনো।
তিসা : বাবা কাকে বিয়ে করে আনছো তুমি। যার ব্যবহার এতোটাই খারাপ যা বলার মতো না।
--এইই আমি তোমার সংসার করবোনা। আমাকে যেখানে থেকে নিয়ে আসছো আবার সেখানে রেখে আসো।
--আরে বাবা কি হয়েছে কেউ বলবা নাকি আমাকে।
--তুমি বাজারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার মেয়ে আমাকে এই বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিল। বলতেছে তোর জায়গা এখানে হবেনা। যেখানে থেকে এসেছিস সেখানে চলে যা। আমি তোকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারবো না।
তিসা : বাহ বাহ কি সুন্দর মিথ্যা বলে এই মহিলা। ভাবছিলাম শুধুমাত্র ঝগরাই করতে পারে কিন্তু এখন দেখি এর চেয়েও বেশি।
--এইইই তিসা চুপ করো। উনি বতর্মান তোমার মা হয়। ওনার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলবা।
তিসা : বাবা তুমি ওই মহিলার কথাই বিশ্বাস করলে।
--এই মহিলা কি হ্যা। তোমার মা হয় মা!
--দেখছো তোমার মেয়ের ব্যবহার। আল্লাহ্ জানে আমার কপালে কি লেখা আছে।
"তো এই ভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে হঠাৎ একদিন তিসার নতুন মা রাতে তিসার রুমে আসে।
"এমন ব্যবহার দেখে তিস বেশ আশ্চর্য হয়।
--আমি একটা জিনিস ভাবলাম, এই ভাবে ঝগরা করলে কখনো সুখ আসবেনা জীবনে। তাই মিলে মিশে থাকবো এখন থেকে আমরা।
তিসা : তাহলে তো অনেক ভালোই হয়।
--হুমম আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে। আর আমি তোমার মা।
"এই ভাবে খারাপ মহিলাটি তিসাকে এতো সহজে আপন করে নিবে তিসা সেটা ভাবতেই পারেনি। তো মিলে মিশে ভালোই দিন যাচ্ছিলো।
"একদিন রাতে তিসা নিজের রুমে পরতেছিলো এমন সময় তিসার নতুন মা এক গ্লাস দুধ নিয়ে ওর রুমে প্রবেশ করে।
--নারে মা ঘুমাইনি, অনেক রাত হয়েছে দুধ টুকু খেয়েনি। তাহলে ভালো লাগবে।
তিসা : রেখা যাও পরা শেষে খাবো।
তিসা : পরে খাই মা প্লিজজজজজ?
--আবার মুখের উপর কথা বলে। খাইতে বলছি এখনি খাবি।
"মায়ের এমন কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তিসা দুধটুকে খেয়েনেয়।
--এই তো লক্ষি মেয়ে আমার এখন সারা রাত পর কোন সমস্যা নেই।
তিসা : হুমমম ঠিক আছে তুমি এখন ঘুমাইতে যাও।
"এই বলে সেখান থেকে তিসার নতুন মা নিজের রুমে চলে আসে। আর তিসা আপন মনে পরতে থাকে।
বেশ কিছুক্ষন পরার পরে তিসা অনুভব করে তার বুকে জালা পোরা শুরু হয়েছে,,,,
"তার একটু পরে তিসা বুঝে যায় তাকে,,,,,,,
মন্তব্য করুন: