প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:১০
হিমেল হাওয়ার সাথে কনকনে শীতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীর চেয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। গত সপ্তাহ থেকে শীত বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। সেই সাথে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি বলে জানা যায়। খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালেও একই অবস্থা।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫৫-৬০ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সেই সাথে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকেও রোগীর ভিড় বাড়ছে।
আমেনা খাতুন গত বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ ডায়রিয়া। পরে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ভর্তির পরামর্শ দেয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবায় আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এসময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মলয় কুমার মন্ডল বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। তিনদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জানান জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
মন্তব্য করুন: