নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সুপর্দ করে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের সময় ড্রেজার জব্দ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় লোকজনকে আহত করে জব্দ ড্রেজার চিনিয়ে নেন। ওইদিন রাতে এলাকাবাসীর পক্ষে আদিল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আব্দুল্লার চরের আবুল হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া (২৮) ও একই গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে শিপন মিয়া (৩০)।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক আরিফ রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, বালু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয় আবুল মেম্বার ও তার ছেলে শাহরিয়ারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামী করে রায়পুরা থানায় অভিযোগ করা হয়। মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় লোকজন নৌকাযোগে গিয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেন। এসময় বালু উত্তোলনকারীদের সাথে এলাকাবাসীর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বালু উত্তোলনকারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীকে ঘিরে ফেলে। এসময় বালু উত্তোলনে জড়িত আবুল মেম্বারের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতরা হামলা করে। এতে কমপক্ষে ১১ জন নিরীহ এলাকাবাসী আহত হয়। আহতদের রায়পুরা, ভৈরব হাসপাতালসহ স্থানীয় বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ও চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুরা থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) আরিফ রব্বানী জানান, মামলার পর জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন: