প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:০৮
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি।
(১৭ জানুয়ারি) বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বলেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তাঁর বিজয়ে এডিবি খুবই খুশি।
গিনটিং উল্লেখ করেন, ‘এডিবি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা একই সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরো বলেন, তাঁরা কক্সবাজারে জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পে তাঁদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চান। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য জেলাগুলোতেও তাঁদের একই কাজ করার অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশের জন্য এডিবির সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে বলেন, ‘আশা করি, আপনারা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।’ শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক খাতে মূল্য সংযোজন প্রকল্প গ্রহণের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ক্রমাগত সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা এডিবিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জের চাহিদা পূরণে প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যেখানে লজিস্টিক অবকাঠামোর উন্নতি এবং পরিষেবা সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এডিবির জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ পাবে বলে আশা করে।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এডিবি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে, যাতে দেশের প্রবৃদ্ধির গতি বজায় থাকে এবং একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ ভবিষ্যৎ রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায়। তিনি বলেন, ‘এডিবি তাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে, তাই এটা আকাঙ্ক্ষিত যে এডিবি এমন প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য বড় ধরনের সহযোগিতা দেবে, যা ডিজিটাল গ্যাপ কমিয়ে দেবে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করবে, উন্নত ও কম কার্বন প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে, সবুজ শক্তি উৎপাদন করবে, জলবায়ু সহনশীল কৃষির সম্প্রসারণ ঘটাবে, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা এবং দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
মন্তব্য করুন: