মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার

রাবিতে আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র ফেলে দিল ছাত্রলীগ নেতা

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:৩৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাতের খাবার খেতে হলের বাইরে যান। এসময় কক্ষ (১৩০ নম্বর) থেকে তার বিছানা ও জিনিসপত্র মেঝেতে ফেলে দিয়ে অন্য এক শিক্ষার্থীকে সিটে তুলে দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসান।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা দিনাজপুর জেলায়। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন, 'আমি গতকাল রাত ৮টায় রাতের খাবার খেতে বাহিরে যাই। খাবার খেয়ে একটু দেরি করে রুমে এসে দেখি, আমার বিছানাপত্র মেঝেতে ফেলে দিয়ে অন্য এক ছেলেকে আমার সিটে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সোহান। এই রুমে প্রভোস্ট আমাকে বরাদ্দ দিয়েছেন বলার পরেও তারা আমাকে থাকতে দিবে না বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রভোস্টকে জানালে তিনি আমাকে বলেন, আমার দায়িত্ব হলো সিট বরাদ্দ দেওয়া যা আমি দিয়েছি। এখন কিভাবে থাকবে, সেটা তুমি জানো।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, 'অসচ্ছল পরিবার থেকে আমার উঠে আসা। আর্থিক অবস্থার কারণে বিভাগে এক বছর ইয়ার গ্যাপ দিতে হয়েছে আমাকে। প্রভোস্টের কাছে ছয় মাস ঘুরে এই সিটটা আমি পেয়েছি। এখন যদি এই সিটে থাকতে না পারি, তাহলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর হবে। তাই আমার সিট আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসানের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বলেন, 'বিষয়টি শোনামাত্রই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আমি ডেকেছি। কি হয়েছে তার কাছ থেকে শুনবো। যদি সে হলের কার্ডধারী শিক্ষার্থী হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে তার সিটে তুলে দেওয়া হবে। বিষয়টি দ্রুতই মীমাংসা করে দিবো।'

শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম বলেন, 'ওই ঘটনাটির সমাধান হয়ে গেছে। ওই ছেলে ওই রুমেই থাকবে।'

নিজের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তোলা অভিযোগের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন, 'সে যেভাবে বলেছে, আমি ওইভাবে বলিনি। প্রথমে ওই ছেলে আমাকে সিটের বিষয়ে বলার পরে আমি তাকে বলেছিলাম যে, "দেখো ওই সিটের বিষয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা আগেই বলেছে। তুমি কি ওখানে থাকতে পারবা?" সে বলল, "থাকতে পারবো স্যার"। পরে যখন বলল নামিয়ে দিয়েছে, তখন আমি বলেছি যে, "বললে থাকতে পারবে, তাহলে পারলেনা কেনো?"

তবে সন্ধ্যা ছয়টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, সোহান হাসানের তোলা ছেলেটি এখনো রুমে আছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর