প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:০০
১৯ জানুয়ারি থেকে স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থাপনা দেখতে পাবেন। একইসঙ্গে এক জুলাই থেকে দেশে সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেল ও চিনির আমদানি, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওই শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না। আমি মনে করি বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করে তারা অত্যন্ত সৎ এবং উদ্যোগী। আমি ৫ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি আমাকে একটু সময় দিন। আমার মনে হয়, এই সিন্ডিকেট শব্দটা জুনের পরে আর কেউ বলবে না। তাদের কাছ থেকে সে পরিমাণ সহযোগিতা পাব এই শব্দটা আর ব্যবহার করা লাগবে না। আমি বললাম তো ১ জুলাই থেকে এ শব্দটা ব্যবহার করা লাগবে না। ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করেন, কেউ কারসাজিতে যুক্ত নন। আমি এটা বিশ্বাস করি না।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমাতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো পণ্য উৎপাদন ও আমদানি করে না। পণ্যের দাম আমি কমাতে পারবো না। কিন্তু দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য যে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করার সেটা করতে পারব৷ আমি আশা করি আজকে যে উদ্যোক্তারা এখানে আসছেন তাদের সহযোগিতায় আমি এমন একটা বাজার ব্যবস্থা বাংলাদেশে তৈরি করতে পারব, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বড় ক্রাইসিস না হলে পণ্যে কোনো সংকট থাকবে না। আর কৃষিপণ্য যেমন পেঁয়াজের যৌক্তিক মূল্য কত হওয়া উচিত সেটা কৃষি মন্ত্রণালয় বলতে পারবে, চালের মূল্য খাদ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা কোনো বিষয়ের পরিবর্তন করছি না। সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে। আমি আপনাদের কাছ থেকে জনু ৩০ পর্যন্ত বা চলতি অর্থবছর পর্যন্ত সময় নিচ্ছি। জুলাই থেকে আমরা যে ব্যবস্থাটা করব সেটা আপনারা জানবেন। এই মুহূর্তে আমরা যে কোনো মূল্যে বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই৷ এজন্যই তাদের ডাকা হয়েছে। কেউ যেন মজুতদারি, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারটাকে বিশেষ করে রমজান মাসে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করে। এজন্যই তাদের ডেকেছি, কোনো মূল্য নির্ধারণের জন্য ডাকা হয়নি।
মন্তব্য করুন: