প্রকাশিত:
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৩৯
আজ (২০ জানুয়ারি) শনিবার সকালে বিশেষ আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে নরসিংদী জেলা ইজতেমা শেষ হচ্ছে। (১৯ জানুয়ারি) শুক্রবার ছিলো ইজতেমার জুমার নামাজের দিন। ইজতেমা ময়দানে দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। গত ১৮জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর তালিমে জিকির ও আম বয়ানের মধ্য দিয়ে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার মরজাল-পোড়াদিয়া সড়কের গাংকুরপাড়া মারকাস মসজিদ সংলগ্ন মাঠে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, এবছর বেলাব উপজেলা মার্কাজে জেলা ইজতেমা চলছে। এর আগে গত বুধবার সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জড়ো হয় ইজতেমা ময়দানে। ইজতেমায় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা জড়ো হতে থাকেন। এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে জিকির-আসকারসহ ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন। এই ইজতেমার আলোচ্য বিষয় ছিলো আল্লাহর সান্নিধ্য, ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের আলোচনা, ইল্মে ও শরীয়ত ও ইল্মে মা’রিফাতের বয়ান, তা’লিমে জিকির, কুরআন শরীফ ও নামায শিক্ষার ব্যবস্থা, তাফসিরুল কুরআন, দারসে হাদিস, ত্বাহারত, ইসলামী গজল এবং সুন্নাতের উপর ইসলামী জিন্দেগীর ব্যবহারিক শিক্ষা।
জেলা আমির মোঃ মীর মহসিন বলেন, ঢাকা কাকরাইল মসজিদের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দলে এসে আলোচনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। এছাড়াও বয়ান করেছেন ভারত ইন্দোনেশিয়াসহ দেশ-বিদেশ থেকে আসা দেশবরেন্য আলেম ওলামায়েগণ। ইজতেমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে চিশিআতয়া ছাবিরিয়া তরীক্বার ২১টি ছবকের ম্যাধমে আধ্যাতিক মহাসাধনা। তালিমের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক উন্নতি ঘটিয়ে আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা করে মহাস্ট্রার সান্নিধ্য লাভ করাই এ ইজমেতার প্রধান লক্ষ্য।
বেলাব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো আজিজুল রহমান বলেন, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও কাজ করছে কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক।
মন্তব্য করুন: