প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৪৫
নরসিংদীর রায়পুরায় বিদ্যুৎ জ্বালানি খরচ বিহীন ফল, সবজি সংরক্ষণাগার জিরো এনার্জি কুলিং চেম্বারে সবজি সংরক্ষণ করে ন্যয্যমূল্য সুফল পাচ্ছেন আবদুল সাদেক নামে এক প্রান্তিক কৃষক।
উপজেলার উত্তর বাখরনগর গ্রামের কৃষক আ: সাদেকের বাড়িতে প্রবেশের পর চোখে পড়লো জিরো এনার্জি কুলিং চেম্বার। যেখানে কৃষক সালাম ও তার সহধর্মিণী খেত থেকে উঠানো উৎপাদিত সবজি রাখছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মজনু, কামাল,রহিমা বলেন, 'কৃষক সালাম জিরো এনার্জি কুলিং ব্যবহারে অনেক উপকৃত হচ্ছে। অনেকে স্থাপনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।'
কৃষক সালামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, "এর আগে হাটে অবিক্রীত সবজি পরবর্তীতে বাজারজাতকরণে সংরক্ষণ করতে সমস্যা হতো, ন্যায্যমূল্য পেতাম না। এতে লোকসান গুনতে হতো। এখন অবিক্রীত সবজি সংরক্ষণ করে নির্দিষ্ট হাটের দিন বিক্রি করে ন্যায্য মূল পাচ্ছি। এতে দিন দিন সংসারের আয় রোজগার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা খুবই আনন্দিত।"
আবদুস সাদেক বলেন, "উপজেলা কৃষি অফিস খরচ বিহীন জিরো এনার্জি কুলিং চেম্বার দেন। বাড়িতে এক বছর আগে এটি স্থাপন করি। এখানে ৬ টি ক্যারেটে এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সবজি রেখে হাটের দিন বিক্রি করতে পারি। এতে অনেক সুফল পাচ্ছি। এটা দেখতে অনেকে ভিড় করে, আগ্রহ দেখাচ্ছে।"
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের "পুষ্টি বাগান প্রকল্প" এর আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার প্রান্তিক কৃষক আবদুস সাদেকের বাড়িতে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ জ্বালানি খরচ বিহীন সবজি সংরক্ষণাগার জিরো এনার্জি কুলিং স্থাপন করে। যা ইট ও বালি, সিমেন্ট, পানি, পানির টাংকি, পাইপের সমন্বয়ে ১৬৫ ফিট দৈর্ঘ্য ১১৫ ফিট প্রস্ত ২৬৮ ফিট উচ্চতার ফল, সবজি সংরক্ষণে জিরো এনার্জি কুলিং চেম্বার স্থাপন করা হয়। এতে ৬টি ক্যারেটে এক সপ্তাহের জন্য ১শ ২০ থেকে ১শ ৫০ কেজি প্রয়োজনীয় শাক সবজি রাখছেন কৃষক সালাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "জিরো এনার্জি কুলিং বিদ্যুৎ জ্বালানি খরচ বিহীন সবজি সংরক্ষণাগারে ফল, সবজি সংরক্ষণ করতে পারে। চেম্বারের মধ্যে তাপমাত্রা কম থাকায় সবজি বা ফল সতেজ থাকে, সেল্ফ লাইফ বেড়ে যায়। ৬-১০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা যায়। ফলে সবজি বা ফলনের পঁচনের হার কমে যায়। ৬টি ক্যারেটে এক সপ্তাহের জন্য ১শ থেকে ১শ ৫০ কেজি রাখা সম্ভব। কৃষক নির্দিষ্ট সময়ে হাটে বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। তাকে দেখে অনেকে তা স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস আগ্রহীদে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এতে কৃষি প্রধান এলাকার মানুষ সুফল পাবে বলে আশা করি।"
মন্তব্য করুন: