প্রকাশিত:
২২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:৫৮
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
লিখিত অভিযোগে নাম উঠে আসা অভিযুক্তরা হলেন সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাজহারুল ইসলাম নাঈম, মারুফ, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা, একই বর্ষের ল’অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নিশান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ওলিউর রহমান ওলি ও বাংলা বিভাগের তাওহীদ তালুকদার।
ভোক্তভোগী ও সহপাঠীদের সূত্র মতে,
বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসের লেকে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়। ওই সময় ভুক্তভোগী উৎস ভুলক্রমে অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনের একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। পরে অভিযুক্তরা উৎসসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সবাইকে অপমান করেন। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে শাখা ছাত্রলীগের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মাঝে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। আজ ফের মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা পরীক্ষা শেষ করে বাসের জন্য ঝালচত্ত্বরে অপেক্ষা করছিলাম। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা নিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের বন্ধু উৎস এর চোখে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি পাবে অপরাধীরা।
এ বিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছি। আহত শিক্ষার্থীদের চোখে লেগেছে তবে ততটা আশঙ্কাজনক না। কিছুদিন বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে। যাবতীয় ঔষধ ও ড্রপ দিয়েছি।
মন্তব্য করুন: