প্রকাশিত:
২৪ জানুয়ারী ২০২৪, ১১:৫৪
রেলপথ যাত্রাকে আরও নিরাপদ করতে এবার ট্রেনে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন বা সিসিটিভি বসাতে যাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। আন্তঃনগর এক্সপ্রেসসহ ২৪টি ট্রেনে এই সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে ১৮টি ট্রেনে বসতে যাচ্ছে সিসিটিভি। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোতেও স্থাপন হবে এই ক্যামেরা। দেশের দুই মোবাইলফোন অপারেটরের মাধ্যমে এসব সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বেশক’টি ট্রেনে পরপর অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। তাই বাড়তি সতর্কতামূলক এ বিশেষ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতা চালানোর পর আপাতত ১৮টি ট্রেনকে সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরপর আরও ছয়টি ট্রেন বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়।
কোচগুলোর ভেতরে সিসি ক্যামেরা থাকলেও এবার ট্রেনের বাইরে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এরফলে সব সময়ের জন্য নিরাপদ রেলপথে ট্রেন চলাচল আরও নিরাপদ হবে এবং সব শ্রেণির যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত একটি রেলওয়ে অঞ্চল। দেশের ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার রেললাইন পরিচালনা করা হয় দুটি অঞ্চলের চারটি বিভাগের মাধ্যমে।
এই দুই অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চল একটি অঞ্চল। রাজশাহী, রংপুর ও ও খুলনা বিভাগ নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে অবস্থিত। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে বর্তমানে ১ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে দুইটি বিভাগ রয়েছে। এর একটি হচ্ছে- পাকশী বিভাগ। অপরটি লালমনিরহাট বিভাগ।
বর্তমানে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী নিয়ে ৩৭ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে। এর মধ্যে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ১৬টিসহ মোট ২৪টি ট্রেনে বসতে যাচ্ছে সিসিটিভি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারা মতে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে একদিকে রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে তেমনি ট্রেনে কর্তব্যরত রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও সার্বিক নজরদারির মধ্যে আসবেন। এতে অনিয়ম ও দুর্নীতি কমলে বাড়বে রাজস্বও।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি বর্তমান সরকারের একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। সিসিটিভি বসানোর কাজ বাস্তবায়ন করা গেলে রেল সেবার মান আরও বাড়বে। মোবাইলফোন অপারেটর এগুলো বসানোর কাজ করবে; এইটুকু তারা জানেন। রেলভবনের মাধ্যমে এরই মধ্যে অপারেটর দুটি তাদের টেলিকম বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে গেছেন। আর পরিকল্পনায় ২৪টির কথা তিনি শুনেছেন।
আপাতত ঢাকাগামী ১৬টি ট্রেন ও রূপসা-সীমান্তসহ সর্বমোট ১৮টি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন: